নওগাঁ বিআরটিএ ও পাসপোর্ট অফিস দালালের হাতে জিম্মি জনগন অতিষ্ঠ প্রশাসন নিরব

নওগাঁ বিআরটিএ ও পাসপোর্ট অফিস দালালের হাতে জিম্মি জনগন অতিষ্ঠ প্রশাসন নিরব। জানাগেছে লাইসেন্স ধারী ষ্ট্যাম ভেন্ডার এর আদলে বিআরটিএর লাইসেন্স ও পাসপোর্ট এর দালালীর জম জমাট ব্যাবসা চলছে প্রসাশন নিরব। কয়েকজন নামধারী ষ্ট্যাম ভেন্ডার সহ বহীরাগত দালাল। ষ্ট্যাম ভেন্ডারীর নামে গুটিয়ে নিয়েছে দূর্নিতির আখরা।

মো: কিরণ (সাহা গ্রুপ ৫জন) পাসপোর্ট দালাল, ষ্ট্যাম ভেন্ডার মো: শহিদুল ইসলাম, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও পাসপোট দালাল, মো: আব্দুল কুদ্দুস, তার বাবা একজন পুলিশ, লাইসেন্স দালাল, ষ্ট্যাম ভেন্ডার আব্দুল ওয়াহাব (ভুট্টু), ড্রাইভিং লাইসেন্স ও পাসপোর্ট দালাল, মো: এমদাদুল হক, ড্রাইভিং লাইসেন্স দালাল, অফিসেই থাকে, মো: রিপন, অফিসেই থাকে, মো: আবুল হোসেন, অফিসেই থাকে মো: নওশাদ, ড্রাইভিং লাইসেন্স, মো: হুমায়ন কবির, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ডি.সি অফিসের ড্রাইভার মো: আবুবক্কর সিদ্দিক(ভুট্টু) ড্রাইভিং লাইসেন্স, আব্দুল মান্নান এ একজন নামধরী দালাল গাড়ী না দেখিয়ে টাকার বিনিময়ে ফিটনেস নিচ্ছেন।

মো: নওশাদ, ড্রাইভিং লাইসেন্স। এদের মাধ্যেমে পাসপোর্টের জন্য ৬ হাজার থেকে ৬ হাজার ৫ শত টাকা। ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে দালাল চক্র। নামা মাত্র লিখিত পরীক্ষা দিলে মৌখিক ও মাঠ পরীক্ষা না দিলেও এদের মাধ্যমে লাইসেন্স পাওয়া যায় । দেখা গেছে ২০১৩ সালে প্রতিটি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর স্বাক্ষর নেওয়া হতো বর্তমানে শুধু মাত্র লিখিত পরীক্ষায় ১টি স্বাক্ষর নিওয়ার কারনে সকল পরীক্ষায় পাস করানো সম্ভব হয়। যেমন রোল নং ২১৩ নাম মো: মোসলেম উদ্দীন গত ২৮/০২/২০১৫ তারিখে শুধু মাত্র লিখিত পরীক্ষা দিয়েছেন টাকার বিনিময়ে সকল পরীক্ষায় পাস দেখানো হয়।

প্রকাশ থাকে যে ভিন্ন্য জেলার লাইসেন্স নওগাঁ জেলায় করতে পারবে না মোটরযান পরিদর্শক (এমভিআই) মো: শফিকুল আলম এর কথা থাকলেও সে দেদারছে রংপুর জেলার শত শত লাইসেন্স করছে বলে প্রমান পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে অফিস সহকারী মো: অহিদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান নওগাঁর প্রত্যায়ন পত্র থাকলে হবে। অন্য জেলার লাইসেন্স গুলোর প্রত্যায়ন ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান প্রত্যায়ন থাকলে থাকতে ও পারে।

অপরদিকে টাকা না দিলে সকল পরীক্ষায় ফেল দেখানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষায় পাস করানোর জন্য দালালদের মাধ্যেমে বিআরটিএ অফিসে দিতে হয় ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫ শত টাকা । এক টেবিলে ৩ জন পরীক্ষা দিল এই ৩ জন লিখিত পরীক্ষায় একই রকম লিখেছিল কিন্তু ২ জন পাস করলো আর ১ জন ফেল। কারণ দালালদের মাধ্যেমে না যাওয়ার কারনে ফেল করে দেওয়া হয়েছে।

বিআরটিএ অফিসের একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান লাইসেন্সের টাকা মোটরযান পরিদর্শক মো: শফিকুল আলম নিজে নেয়, ও অফিস সহায়ক বিজন কুমার পাল এর মাধ্যেমে নেয়। বিজন কুমার পাল ঘুষ নেওয়ার কারণে কিছুদিন আগে জেলখানায় গিয়েছিল, এর মাধ্যেমেও টাকা নেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে বিআরটিএর মোটরযান পরিদর্শক (এমভিআই) মো: শফিকুল আলম এর সাথে মোবাইলে ০১৮১৭-৫৮৪৩৬১ যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ১শ জন পরীক্ষারথীর মধ্যে ৩ জন ফেল করতেই পারে।

এ ছাড়া মোটরযান পরিদর্শক (এমভিআই) মো: শফিকুল আলম জনসাধারণের সাথে ভালো আচরণ/ ব্যাবহার করেন না বলে জনগন অতিষ্ঠ এবং তার রুমে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ছবি না রাখার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান উনার ছবি রাখি বা না রাখি তাতে কি যায় আসে।

উল্লেখ্য যে, এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়, নওগাঁকে অবহিত করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই