হরতাল-অবরোধ নিষিদ্ধসহ ব্যবসায়ীদের ৫ দাবি
আইন করে হরতাল-অবরোধ নিষিদ্ধসহ পাঁচটি দাবি জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা।
রোববার দুপুর ১২টায় রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় পতাকা হাতে ১৫ মিনিট অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে এ দাবি জানান এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ।
ব্যবসায়ীদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে চলমান অবরোধ-হরতাল কর্মসূচি অবিলম্বে প্রত্যাহার, ব্যবসা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ব্যাংকের সকল প্রকার প্রদেয় সুদ মওকুফ, রাজনৈতিক দলগুলোকে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসরণ এবং চলমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য অনতিবিলম্বে উদ্যোগ গ্রহণ।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, ‘আমাদের সম্ভাবনাময় অর্থনীতি আজ সংকটাপন্ন। বিরাজমান সংঘাতময় পরিস্থিতি সামগ্রিক অর্থনীতির ওপর যে বিরূপ প্রভাব ফেলছে, তা বিবেচনায় নিয়ে চলমান অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচি অবিলম্বে প্রত্যাহার করুন।’
তিনি আরো বলেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে অবিলম্বে আইন করে হরতাল ও অবরোধ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করতে হবে। ব্যবসায়ীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য অনতিবিলম্বে উদ্যোগ গ্রহণ করুন।
চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনের দাবিতে রোববার রাস্তায় নামার ঘোষণা আগেই দিয়েছিল এফবিসিসিআই। এবারের প্রতিবাদের স্লোগান হচ্ছে ‘সবার ওপরে দেশ, দেশ বাঁচাও, অর্থনীতি বাঁচাও’।
কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির প্রাক্তন সভাপতি সালমান এফ রহমান, এ কে আজাদ, আনিসুল হক, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি হোসেন খালেদ, বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম, এফবিসিসিআইয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণির ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
এফবিসিসিআই থেকে জানানো হয়, সারা দেশে ব্যবসায়ীরা নিজ নিজ ব্যবসা, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, চেম্বার-অ্যাসোসিয়েশনের সামনে জাতীয় পতাকা হাতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। দেশের সব জেলা চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন, দোকান ও নিজ নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে এবং প্রধান সড়কের পাশে শিল্প-বাণিজ্যের অবকাঠামো ধ্বংসের প্রতিবাদে ও শান্তির দাবিতে জাতীয় পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
আওয়ার নিউজ বিডি’র পাঠকদের জন্য ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষে এফবিসিসিআই-এর পুরো বক্তব্য নিম্নে দেওয়া হলো :
সবার উপরে দেশ। দেশ বাঁচাও, অর্থনীতি বাঁচাও।।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
১. দেশে চলমান সহিংসতামূলক পরিস্থিতি জাতীয় অর্থনীতি এবং সর্বোপরি সাধারণ নাগরিক জীবনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া এবং ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করায় ব্যবসায়ী সমাজ গভীর উদ্বেগ এবং উৎকন্ঠা প্রকাশ করছে। অনতিবিলম্বে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তোরনের দাবীতে ব্যবসায়ী সমাজ দেশব্যাপী আজকের এই প্রতীকি অবস্থান কর্মসূচী পালন করছে। আমরা আজ এমন একটি সময়ে সমবেত হয়েছি যখন অবরোধ/হরতালের নামে দেশে এক ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে। চোরাগুপ্তা হামলার মাধ্যমে চলন্ত যানবাহনে অগ্নিসংযোগ এবং পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে। এতে শুধু প্রাণহানির ঘটনাই ঘটছে না, অনেকেই সারা জীবনের জন্য শারিরীকভাবে অক্ষম হয়ে যাচ্ছেন। সেসাথে বিশাল ক্ষতির শিকার হচ্ছে জাতীয় অর্থনীতি। আমরা এর অবসান চাই।
২. সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশের অর্থনীতি বর্তমানে একটি শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছেছে। গত কয়েক বছরে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি গড়ে ৬ শতাংশের উপর স্থিতিশীল রয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, রেমিট্যান্স, রপ্তানী, দারিদ্র বিমোচন প্রভৃতি ক্ষেত্রে আমরা ইতিবাচক গতিধারা লক্ষ্য করছি। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রেটিং-এ দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা তুলে ধরা হচ্ছে যা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। উল্লেখ্য যে, এফবিসিসিআই বিসিআইএম-ইসি (বাংলাদেশ-চায়না-ইন্ডিয়া-মায়ানমার ইকনোমিক কাউন্সিল)-এর সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছে যা দেশের জন্য বিশাল অর্জন। অথচ বর্তমান সংঘাতপূর্ন পরিস্থিতি আমাদের সম্ভাবনাময় অর্থনীতির জন্য এক বিশাল অন্তরায়।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জিডিপি প্রবৃদ্ধি সমুন্নত রাখতে, রপ্তানী বাণিজ্য সচল ও বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা নিচ্ছি। আমাদের যে সম্ভাবনা আছে তা দিয়ে জাতীয় প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশে উন্নীত করা সম্ভব। এ লক্ষ্য অর্জন করতে হলে অবশ্যই ব্যবসায়ীদের আস্থা বাড়াতে হবে এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারাকে কোনভাবেই ব্যাহত করা যাবে না। আমাদের আজকের এ কর্মসূচীর মূল লক্ষ্যই হলো আমরা বর্তমান এ সংকট থেকে বের হতে চাই এবং জান-মাল ও ব্যবসায় নিরাপত্তা চাই।
৩. ৫ জানুয়ারি, ২০১৫ কেন্দ্রিক রাজনৈতিক কর্মসূচী পালন করতে গিয়ে দেশে গত ৩৩ দিন যাবৎ একটানা অবরোধ ও হরতাল এবং সেসাথে সহিংসতা ও নাশকতা জাতীয় অর্থনীতি ও নাগরিক জীবনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সৃষ্টি করেছে। চলমান সহিংসতায় –
* অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন শিশুসহ ৮৭ জন নিরীহ মানুষ। পেট্রোল বোমায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রায় ২০০ জন বিভিন্ন হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এ নৃশংসতা থেকে শিশুরাও রেহাই পায়নি। মাইশা ও তার বাবার করুন মৃত্যু আমাদেরকে মর্মাহত করেছে। এরকম অনেক শিশু তার বাবা-মাকে হারাচ্ছে আবার অনেক বাবা-মা তার সন্তানকে হারাচ্ছেন। এ ধরনের নৃশংসতা মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনছে।
* প্রায় ১ হাজার গাড়ীতে অগ্নিসংযোগ এবং প্রায় ৪ হাজার গাড়ী ভাংচুর করা হয়েছে।
* ককটেল বিস্ফোরন ঘটানো হয়েছে সহ¯্রাধিক।
* রেলে নাশকতা করা হয়েছে ১০টি ।
* বিভিন্ন অফিস-আদালত ও বাসা-বাড়ীতে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
৪. হরতাল/অবরোধের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারার পৈশাচিকতা এবং জাতীয় সম্পদ ধ্বংসের ঘটনায় ব্যবসায়ী সমাজ গভীরভাবে উদ্বেগ এবং নিন্দা জানাচ্ছে। জীবন-জীবিকার জন্য সাধারণ জনগণ স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে না – তাদের দূর্ভোগ বেড়েই চলছে আশংকাজনকভাবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটসহ সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে পেট্রোল বোমায় অগ্নিদগ্ধদের কষ্টদায়ক আহাজারি হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। দেশব্যাপী ব্যাপক সহিংসতায় প্রাণহানী ও হতাহতের ঘটনায় আমরা গভীর দুঃখ ও সমবেদনা প্রকাশ করছি। এ ধরনের অনাকাংঙ্খিত জীবন ও সম্পদহানি রোধ এবং জাতীয় অর্থনীতির স্বার্থে সবধরনের ধ্বংসাত্মক এবং প্রাণঘাতি কর্মসূচী পরিহার ও পরমতঃ সহিষ্ণুতা প্রর্দশনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল রাজনৈতিক পক্ষের প্রতি আমরা আবেদন জানাচ্ছি।
৫. আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, বছরের শুরু থেকেই বিরামহীন অবরোধ ও হরতালে পর্যদস্তু হয়ে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। এ পরিস্থিতে দেশের কৃষক, উৎপাদক, ব্যবসায়ী ও রপ্তানীকারকরাই বেশী ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। কেননা চলমান কর্মসূচীর কারনে পরিবহন খাত, উৎপাদন খাত, রপ্তানী খাত, কৃষি খাত ও পর্যটন খাত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পরিবহন চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়ায় শুধুমাত্র যাত্রীদেরই ভোগান্তি হচ্ছে না এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে উৎপাদন এবং পণ্য পরিবহন (সাপ্লাই চেইন) ব্যবস্থায়। পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে যার প্রভাব পণ্যমূল্যের উপর পড়ছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্প পুঁজিহারা হচ্ছে। বিভিন্ন পরিসংখ্যানে দেখা যায়, একদিনের হরতাল বা অবরোধে প্রায় ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে যার সিংহভাগই হয়ে থাকে ব্যবসায়ীদের। চলমান সহিংসতামূলক রাজনৈতিক কর্মসূচীর কারনে ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন খাতে এখন পর্যন্ত আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা। উল্লেখযোগ্য ক্ষতিগ্রস্ত খাতসমূহ –
* পরিবহন খাত – প্রায় ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা
* গার্মেন্টস খাত – প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা
* উৎপাদন খাত – প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা
* পর্যটন খাত – প্রায় ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা
* কৃষি, পোল্ট্রি খাত – প্রায় ৯ হাজার ৫১৮ কোটি টাকা
* হিমায়িত পণ্য খাত – প্রায় ২৫০ কোটি টাকা
* আবাসন খাত – প্রায় ৭ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা
* খুচরা ও পাইকারী ব্যবসা – প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা।
প্রকৃতভাবে এ ক্ষয়ক্ষতি আরও বেশী। বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের উদ্যোগই বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যার কোন পরিমাপ করা যায় না। এভাবে চলতে থাকলে দেশের অর্থনীতি সম্পূর্ণরূপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে যা কখনই ব্যবসায়ী সমাজ মেনে নিতে পারে না।
৬. উৎপাদন ব্যবস্থা বন্ধ থাকা সত্ত্বেও শিল্প/ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহকে ব্যাংকের ঋণের সুদ পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে ব্যাংকে শ্রেনীবিন্যাসকৃত ঋনের পরিমান আশংকাজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে যা ব্যাংকিং ব্যবস্থার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
৭. দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বেসরকারি খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রতি বছরই দেশে প্রায় ৩০ লক্ষ লোক কর্মবাজারে আসছে যার বেশিরভাগই যোগান দিচ্ছে বেসরকারি খাত। অস্থিতিশীলতার কারনে যদি বেসরকারি খাতের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয় তাহলে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং ফলশ্রুতিতে দেশে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করবে।
৮. চলমান পরিস্থিতি অন্যান্য খাতের সাথে শিক্ষা ব্যবস্থাকেও ভীষনভাবে ব্যাহত করছে। বিরাজমান ধ্বংসাত্মক কর্মসূচী শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের চরমভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ফেলে দিয়েছে। হরতাল বা অবরোধ কর্মসূচীর কারনে শিক্ষা জীবনকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়া কোনভাবেই কাম্য নয়।
৯. বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে উন্নীত হতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই সংঘাত ও নেতিবাচক কর্মসূচী বিশেষ করে হরতাল/অবরোধ ও সহিংসতা কর্মসূচী পরিহার করা জরুরী।
আজ ব্যবসায়ীদের দাবী :
১। আমাদের সম্ভাবনাময় অর্থনীতি আজ সংকটাপন্ন। বিরাজমান সংঘাতময় পরিস্থিতি সামগ্রিক অর্থনীতির উপর যে বিরূপ প্রভাব ফেলছে তা বিবেচনায় নিয়ে চলমান অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচী অবিলম্বে প্রত্যাহার করুন।
২। হরতাল/অবরোধ চলাকালীন সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত সকল ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যাংকে সকল প্রকার প্রদেয় সুদ মওকুফের দাবী জানাচ্ছি। একই সাথে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫০০ কোটির উপরে ঋণগ্রহীতাদের পুন:তফসিল করার যে সুযোগ দিয়েছে সে সুযোগ সর্বশ্রেনীর ঋণগ্রহীতাদের প্রদানের জন্য আমরা দাবী জানাচ্ছি।
৩। বিরাজমান হিংসাত্মক ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম নিরসনের জন্য আমরা মনে করি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসরন করা বাঞ্চনীয়। তবে এর জন্য দেশব্যাপী বিরাজমান সহিংসতা ও জ্বালাও পোড়াও বন্ধ করে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলোকে এগিয়ে আসার জন্য আমরা উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
৪। আমরা সোচ্চার কন্ঠে পুন:ব্যক্ত করতে চাই যে, এ অবস্থা চলতে থাকলে অবিলম্বে আইন করে হরতাল ও অবরোধ সম্পূর্নরূপে নিষিদ্ধ করতে হবে।
৫। বিদ্যমান পরিস্থিতি আর চলতে দেয়া যায় না। ব্যবসায়ীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তোরনের জন্য অনতিবিলম্বে উদ্যোগ গ্রহন করুন।
সবার উপরে দেশ। দেশ বাঁচাও, অর্থনীতি বাঁচাও।।
-এ শ্লোগান দেশের সকল বিবেকবান মানুষ ধারণ করুন ও ধ্বংসাত্মক পরিবেশের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন।
আপনাদের সকলের উপস্থিতি এবং আমাদের উদ্যোগের প্রতি সহমর্মিতা ও সমর্থন জানানোর জন্য সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
মন্তব্য চালু নেই