ওবামা বাংলাদেশে যাচ্ছেন না কেনো?

‘কথা রাখলেন ওবামা। দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হলে বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রেসিডেন্ট। সেই আগ্রহেই আগামী ২৬ মার্চ দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সপরিবারে বাংলাদেশ যাচ্ছেন তিনি। ২৬ মার্চ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসে রাজধানী ঢাকার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সশস্ত্র বাহিনীর কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন বারাক ওবামা। কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের এটি হবে দ্বিতীয়বার বাংলাদেশ সফর।’ -মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে নিয়ে এটি কাল্পনিক সফরসূচি। বাস্তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ ধরনের কোনো কর্মসূচি নেই। ২০১২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের বিশ্বখ্যাত হোটেল ওয়ার্ল্ডরফ এস্টোরিয়ায় আয়োজিত এক নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণের জবাবে বাংলাদেশ সফরের আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেনের উদ্ধৃতি দিয়ে তখন বাংলাদেশের প্রায় সকল মিডিয়ায় খবরটি গুরুত্ব সহকারে ছাপা হয়েছিল। ড. মোমেন তখন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণের জবাবে ওবামা বলেছিলেন যে তিনি আবারো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে বাংলাদেশ সফর করবেন।

দু’বছরেরও বেশী সময় পেরিয়ে গেছে। ওবামা দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্টও নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু কেনো তিনি বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন না? এর আগে প্রতিবেশী দেশ মায়ানমারসহ দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশ সফর করেছেন। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে দু’বার ঘুরে এলেন। ভারতের নতুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণ পাওয়া মাত্রই তিনি দেশটির প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দিলেন। পুরো বিশ্ববাসীর দৃষ্টি ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভারত সফরের দিকে। ওবামার এই সফরে ভারত যে অনেকখানি এগিয়ে গেলো এবং ব্যাপক লাভবান হলো তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু প্রশ্ন হলো প্রতিশ্রুতি দিয়েও কেনো বাংলাদেশ সফরে গেলেন না ওবামা?

সাংবাদিক হিসাবে এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এটি তার এখতিয়ারর্ভূক্ত নয়।’ এটি নিশ্চয় প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় নিয়োগ পাওয়া ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম জিয়াউদ্দিনের। কিন্তু তিনি তো নতুন এসেছেন দায়িত্ব নিয়ে। এখন পর্যন্ত তিনি নিজের ফোন নম্বরটি মুখস্ত করতে পারেননি। নম্বর চাইলে এমন কথা কয়েকবার বলেছেন তিনি। এম. জিয়াউদ্দিন যার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন সেই বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদেরও এখন নেই। এ ব্যাপারে ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করলে সংশ্লিষ্ট কেউই সদুত্তর দিতে পারেননি। বরং তারা বলেছেন, এটা তাদের জানার বিষয় নয়।’

নিউইয়র্ক থেকে ঢাকায় ফোন করে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছিলাম পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর কাছে। কিন্তু তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের মোবাইলে ফোন করলে তার ব্যক্তিগত সহকারী রিসিভ করে বলেন, ‘স্যার মিটিংয়ে আছেন।’ ফলে এ ব্যাপারে সরকারের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক অগ্রগতির খবর পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশ ভারত। সেই ভারতে এ পর্যন্ত দু’বার রাষ্ট্রীয় সফর করলেন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। আরেক প্রতিবেশী দেশ মায়ানমারও সফর করেছেন তিনি। সর্বশেষ বারাক ওবামার ভারত সফরের সময় বিশ্ববাসীর দৃষ্টি ছিল ভারতের দিকে। বাংলাদেশ সফরে গেলে নিশ্চয় সবার দৃষ্টি থাকতো একই রকম।

বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের নিন্মের আয়ের দেশ। সরকারের দাবি, ২০১৯ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে এবং ২০৪১ সালে হবে উন্নত দেশ। সরকার সে লক্ষেই কাজ করছে বলে দাবিও করছে। আর এই লক্ষ্য অর্জনে সরকারকে শুধু অর্থনৈতিক দিকে নজর দিলেই হবে না, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূনৈতিক যোগাযোগও বাড়াতে হবে। কিন্তু সরকার সেই যোগাযোগ কতটুকু করতে পারছে তা এখন ভেবে দেখার বিষয়। নি¤œ বা মধ্যম যে মাপকাঠিতেই বাংলাদেশকে মাপা হোক না কেনো স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসাবে বাংলাদেশ কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসা করছে দীর্ঘদিন থেকে। কিন্তু সেই ব্যবসা পজিটিভ ধারণা ফেলতে পারছে কী মার্কিন প্রশাসনে?

গার্মেন্ট খাতে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ক্রেতা যুক্তরাষ্ট্রই। সরকারের সঠিক কূটনৈতিক তৎপরতার অভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সুবিধা (জিএসপি) হাতছাড়া হয়েছে বাংলাদেশের। যদিও জিএসপি সুবিধা ছিল একেবারেই নগণ্য। কিন্তু সেটুকইু ফিরে পেতে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত (?) থাকলেও তাতে সাফল্য আসছে না। বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাণিজ্য সুবিধা দিতে সরকার ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর টিকফা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যের পরিমাণ বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান ৫৯তম। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আমদানির পরিমাণ রপ্তানির তুলনায় প্রায় ১০ ভাগের ১ ভাগ, যা ৫০ কোটি ডলার। রপ্তানি ৪৯০ কোটি ডলার। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আমদানি হয় সুতা, কাপড়, যন্ত্রপাতি, স্টিল, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, কিছু গমসহ খাদ্যশস্য। আর বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যায় প্রধানত তৈরি পোশাক। এর বাইরে সিরামিকসহ কিছু সামগ্রী। আমদানি পণ্যগুলোর বেশিরভাগ গার্মেন্ট রপ্তানির সঙ্গে সম্পর্কিত। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের অস্ত্র ছাড়া আমদানি বাড়ানোর সুযোগ খুবই কম। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগ অনেক। তৈরি পোশাক রপ্তানিই আরও অনেক বাড়ানো সম্ভব। এ ছাড়া খাদ্যশস্যসহ আরও অনেক পণ্য রপ্তানি সম্ভব। কিন্তু তার পথে বাধা কী? বাধা যুক্তরাষ্ট্র নিজেই।

অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ সম্প্রতি তার এক প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে অর্থ দেয়, খাদ্য দেয়, নানা রকম সুবিধাও দেয়। নইলে বাংলাদেশ ডুবে মরত। তাই তার কথা অমান্য করা যাবে না। কিন্তু সত্য বরং বিপরীত। যুক্তরাষ্ট্রে গড় আমদানি শুল্কহার যেখানে শতকরা ১ ভাগের মতো, সেখানে বাংলাদেশের গার্মেন্টসের ওপর শুল্কহার শতকরা গড়ে ১৫ ভাগ, কোনো কোনো পণ্যে আরও বেশি। গত এক বছরে বাংলাদেশের গার্মেন্টস রপ্তানির শতকরা প্রায় ২৩ ভাগ যুক্তরাষ্ট্রে গেছে। এ হিসাবে গত বছরও বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রকে শুল্ক বাবদ প্রদান করেছে কমপক্ষে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা। যুক্তরাষ্ট্র থেকে কয়েক বছর আগে পর্যন্ত যে ঋণ অনুদান বাংলাদেশে আসত, এটি তার ছয় গুণেরও বেশি, এখন তা আরও অনেক গুণ বেশি। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে নয়, বাংলাদেশই যুক্তরাষ্ট্রকে অর্থের জোগান দিচ্ছে প্রতিবছর! যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের জন্য জিএসপি বা শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নিয়ে একটা কৃত্রিম হাহাকার ছড়িয়ে রাখা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্প কোনো জিএসপি সুবিধা কখনো পায়নি। বরং বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে অনেক রকম বৈষম্যের শিকার। তারাই ‘মুক্তবাজার নীতিমালা’ ভঙ্গ করে বাংলাদেশের গার্মেন্টসের ওপর বৈষম্যমূলক শুল্ক আরোপ করে রেখেছে! সে জন্য বিশেষ সুবিধা বা অনুগ্রহের দরকার নেই। যুক্তরাষ্ট্র যদি বাংলাদেশের পণ্যের ওপর অন্যান্যদেশের অনুপাতেই শুল্ক আরোপ করে; তাহলেই বাংলাদেশের প্রতিবছর পাঁচ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ কমে এবং সেটা গার্মেন্ট খাতে। বাণিজ্য সম্প্রসারণই লক্ষ্য হলে শুল্কহার গড় মানে নামিয়ে আনলেই চলে!

মার্কিন বিনিয়োগ বাড়লেই বাংলাদেশের স্বার্থ নিশ্চিত হবে? বাংলাদেশে গ্যাস খাতে মার্কিন কোম্পানির বিনিয়োগ আছে। শেভরনের কাছ থেকে কয়েক বছরে যে পরিমাণ গ্যাস ১৬ হাজার কোটি টাকায় কিনতে হয়েছে, তা দেশীয় সংস্থার মাধ্যমে করালে দুই হাজার কোটি টাকায় পাওয়া সম্ভব ছিল। সমুদ্রে এক হাজার কোটি টাকা পাঁচ বছরে বিনিয়োগ করছে আরেক মার্কিন কোম্পানি কনকোফিলিপস। এর বদলে দুই ব্লকের গ্যাস সম্পদের শতকরা ৮০ ভাগের কর্তৃত্ব তাদের হাতে, রপ্তানির অধিকারও তাদের। বঙ্গোপসাগরের আরও গ্যাস ব্লক কনকোফিলিপসকে দেওয়ার আয়োজন এখন সম্পন্ন। এ জন্য কদিন আগেই পিএসসি ২০১২ সংশোধন করে তাদের জন্য সুবিধা আগের চেয়েও অনেক বাড়ানো হয়েছে। এখান থেকে প্রাপ্ত গ্যাস তাদের কাছ থেকে কেনার দাম বাড়ানো হয়েছে, তাদের ইচ্ছামতো দামে তৃতীয় পক্ষের কাছে গ্যাস বিক্রির সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ফলে বাংলাদেশের নিজের গ্যাস কিনতে যা খরচ পড়বে, তার তুলনায় অন্য দেশের কাছ থেকে গ্যাস আমদানি করাই বেশি লাভজনক হবে! তাহলে টিকফা চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কের উন্নতির অর্থ কী?

এত সুবিধা দিয়েও মার্কিন প্রশাসনে যথাযথভাবে উপস্থাপন করা যাচ্ছে না বাংলাদেশকে। এই সম্পর্ককে খাটো বা ছোট করে দেখার কোনো অবকাশ নেই। যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আছে তার জোরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বাংলাদেশ সফরে যেতে পারতেন। কিন্তু সমস্যা হয়তো অন্যখানে। সরকারের আত্ম উপলব্ধি সরকারকে ভিন্নপথে পরিচালিত করছে। এ সুযোগে মার্কিন মুল্লুকে সরকারবিরোধী প্রচারণা চলছে জোরেশোরে। সরকারের বিরুদ্ধে লবিয়িং করতে গিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধেই একটি নেতিবাচক অবস্থানকে জোরালো করছে একটি চিহ্নিত মহল। এসব কারণেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে অনেকটা গুরুত্বহীন হয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। সেই ২০১২ সালে আগ্রহ প্রকাশ করলেও পরবর্তী বছরগুলোতে সরকারপ্রধানের সঙ্গে দেখা হলেও সফরের বিষয়ে ফলোআপ দূরের কথা ন্যুনতম কোনো কথা হয়নি বারাক ওবামার।

সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদমর্যাদার কোনো কর্মকর্তা বাংলাদেশ সফরে গেলে যেখানে হৈচৈ পড়ে যায় সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্টের সফর বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় বিষয়। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নেই একথা সত্যি। আবার ভারতের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু থাকায় ওবামা ভারত সফর করেছেন তাও বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে ভারতের প্রতিরক্ষা খাতকে রঙিনভাবে সাজিয়ে বিপুল বাণিজ্যের মাধ্যমে বিশাল ভারতকে নিজেদের কব্জায় রাখা। ভারতের জন্য ওবামার সফর নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক ঘটনা। ওবামার এ সফর নিয়ে ভারতের সর্বত্র খুশির বন্যা বয়ে গেলেও প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে চলছে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সহিংসতা। তবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হলে ক্ষমতার শেষ মেয়াদে বিল ক্লিনটনের মত ওবামাও একবার বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন, সেই সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। উল্লেখ্য, ২০০০ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন তার দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ পর্যায়ে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।

লেখক: যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক এবং আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক

[এই বিভাগে প্রকাশিত মতামতের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নহে]



মন্তব্য চালু নেই