তারেককে ফেরত আনতে যুক্তরাজ্যকে বাংলাদেশের চিঠি
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিচারের জন্য দেশে ফেরত পাঠাতে যুক্তরাজ্যকে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ। গত বুধবার এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ডকে একটি চিঠি লিখেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী।
তারেক রহমানকে ফেরত আনতে এই প্রথম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যুক্তরাজ্যের কোনো মন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেওয়া হলো বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে। চলমান মামলায় বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পথ সুগম করতে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে যুক্তরাজ্যকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সূত্র মতে, চিঠিটি ইতিমধ্যে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের হাতে পৌঁছেছে। দুই-এক দিনের মধ্যে তিনি চিঠিটি হ্যামন্ডের কাছে পৌঁছে দেবেন। এ ব্যাপারে বাংলাদেশস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনে যোগাযোগ করা হলে তারা তথ্য জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
অবশ্য এর আগেও বিভিন্ন সময়ে ঢাকা সফরকারী যুক্তরাজ্যের কোনো মন্ত্রী বা বাংলাদেশে দায়িত্বপালনকারী হাইকমিশনার তারেককে ফেরত আনার ব্যাপারে বলেছেন, কোনো ব্যক্তির অভিবাসনগত অবস্থান নিয়ে গণমাধ্যমে তথ্য জানানোর বিধান তাদের নেই।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, তারেক রহমান জামিন নিয়ে চিকিৎসার জন্য ২০০৮ সালে লন্ডনে গেলেও আর দেশে ফেরেননি। লন্ডনে অবস্থানের সুযোগ নিয়ে তিনি এমন সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে যুক্ত রেখেছেন, যা বাংলাদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার পাশাপাশি স্বার্থের পরিপন্থী। বিষয়টি জানিয়ে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলাসহ বেশ কিছু মামলায় আইনের দৃষ্টিতে পলাতক থাকায় তারেক রহমানের বক্তৃতা-বিবৃতি গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ নিষিদ্ধ করতে হাইকোর্ট ৭ জানুয়ারি আদেশ দেন। ওই আদেশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তার বিদেশে অবস্থানের বর্তমান অবস্থা জানাতে পররাষ্ট্রসচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমাদের সময়
মন্তব্য চালু নেই