মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সকল কর্মকান্ড স্থগিত : তৃণমূল নেতা-কর্মীরা হতাশ!
বিএনপির দূর্গ হিসাবে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা পরিচিত হলেও এখন দূরাবস্থা চলছে দলটির মধ্যে। দলীয় কোন্দলে হতাশ হয়ে পড়েছে কর্মীরা। ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর-কোটচাঁদপুর) আসনে সঠিক নেতৃত্ব ও নেতা না থাকায় প্রায় ১যুগ আগেই সংগঠনের ভীত নড়বড়ে হয়ে গেছে। স্থগিত হয়ে আছে আগের কমিটি। সে কমিটির সভাপতি ছিলেন সাবেক এমপি শহিদুল ইসলাম মাস্টার, আর সম্পাদক ছিলেন মহিউদ্দিন তবে মহিউদ্দিনের কর্মকান্ড সন্তোসজনক না হওয়া ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারনে তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। পরে ইঞ্জিনিয়ার মোমিনুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। তবে তিনিও দল গোছানের ক্ষেত্রে এতটা সফল হতে পারেননি।
এভাবে বিএনপির মতো বৃহত্তম দলের সংগঠন চলতে পারেনা, এবং নেতৃত্বও টিকিয়ে রাখা যায় না বলে কর্মীদের অভিযোগ। তৃনমুল নেতাকর্মীদের অভিযোগ রয়েছে, মহেশপুর উপজেলায় সংগঠনের ক্ষেত্রে সাবেক এমপি শহিদুল মাষ্টার কোন গঠনতন্ত্র মানে না, তিনি নিজেই সবকিছু করে থাকেন। জেলা বিএনপির পরামর্শ তো দূরের কথা, কোন প্রকার মতামত নিতেও নারাজ শহিদুল ইসলাম মাষ্টার। সাবেক এই এমপির সুবিধা ভোগী বাহিনী দ্বারা মাঠে নামতে দেয়নি ত্যাগী ও তরুণ নেতাকর্মী-সমর্থকদের। বরং বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার করে রাজনীতির মাঠে থাকতে নিরুৎসাহিত করেছেন।
বিগত জোট আমলে মহেশপুরের প্রার্থী নির্বাচনে কেন্দ্রে যখন সমঝোতা না হয় তখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জামাত এবং বিএনপিকে মনোনয়ন দেন। এবং বলেন যে ব্যক্তি এই আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে আসবেন তাকেই আমরা স্বগত জানাব। আজ সেই বিএনপির ঘাটি বলে চিহিৃত মহেশপুরে বিএনপির ভীত নড়বড়ে হয়ে যাওয়ার মধ্যে রয়েছে দিনের আলোয় বিএনপি ও রাতের আধারে অন্যদলের সাথে আতাত । সাবেক এমপি শহিদুল ইসলাম মাষ্টার শারিরীক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে বাদদিয়ে নেতা-কর্মীদের চাহিদা অনুযায়ি নতুন কমিটি প্রদানের দাবি দীর্ঘদিনের । কর্মীদের লিখিত আবেদনেও জেলা বিএনপি আজ পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। এসকল বিষয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নের সভাপতি/সম্পাদকের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান পৌরসভার নীতিহীন, ডিগবাজী খাওয়া কিছু দালাল শ্রেণীর নেতা ও উপজেলা বিএনপির নেতা, দু’একজন ইউপি চেয়ারম্যানের কারণে দল গতিশীল হচ্ছে না। রাজনৈতিক দুই শতাধিক নেতা-কর্মীর নামে মামলা হলেও সুবিধাভোগী কারো নামে আজ পর্যন্ত মামলা হয়নি।
জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কন্ঠশিল্পী মনির খান ও শহিদুল ইসলাম মাষ্টারের বাড়ি মহেশপুর অথচ তারা আজ পর্যন্ত কোন আন্দোলনে এক দিনও মাঠে থাকেননি। এদের মধ্যে মনির খান সংগীত জগৎ থেকে হঠাৎ করে রাজনীতিতে প্রবেশ করলেও তিনি সফল হতে পারেনি। এমনকি তৈরি করেছেন নতুন গ্র“প। হামলা মামলায় ক্ষতিগ্রস্থ কারো পাশে দাঁড়ায়নি। মোমিনুর রহমান বলেন, মহেশপুর,কোটচাঁদপুর উপজেলা বিএনপি যখন চাঙ্গা হচ্ছিল তখনই আবার দলের কমিটি ও সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে । তবে তিনি নিয়মিত এলাকায় কর্মীদের নিয়ে চলমান আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে শারিরীক ভাবে অসুস্থ থাকায় মহেশপুর বিএনপি নেতা সাবেক এমপি শহিদুল ইসলাম মাস্টারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি, তবে তার অনুসারীরা বলছে এখনো শহিদুল মাস্টারই তাদের দলের নেতা ।
মন্তব্য চালু নেই