মাত্র ২৫ টাকার জন্য
বিনামূল্যের বই পেলনা দরিদ্র শিশুরা
বছরের প্রথমদিন সরকার উৎসব মুখর পরিবেশে বিনামূলে বই বিতরন কার্যক্রম করলেও এর ব্যতিক্রম ঘটেছে রাজাপুর সদরের কাছে পূর্ব রাজাপুর এম, হোসেন রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
অভিযোগ উঠেছে, এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বই বিতরনের পূর্বে জনপ্রতি ২৫ টাকা করে আদায় করেন প্রধান শিক্ষিকা তাসলিমা নাসরিন। যারা দাবিকৃত টাকা দিতে ব্যার্থ হয়েছে তারা বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক পাওয়া থেকেও বঞ্চিত হয়েছে বলে অভিযোগকারীরা জানিয়েছে।
সরেজমিন, দিনমজুর মোঃ পনির হোসেন জানায়, তার দুই ছেলে মোঃ রাকিবুল ও মোঃ রবিউল ৩য় শ্রেনীর শিক্ষার্থী। তাদের পিতার কাছে আগেই বলে ছিল নতুন বই আনার জন্য ২৫ টাকা করে দুজনের ৫০ টাকা দেয়ার জন্য। কিন্তু গত কয়েকদিন অবহাওয়া খারাপ থাকায় দিনমজুর পনির কোন কাজ না পাওয়ায় সে টাকা দিতে ব্যর্থ হয়।
এদিকে টাকা দিতে না পারে তার দুই ছেলে বছরের প্রথম দিন স্কুল থেকে বিনামূল্যের বইও আনতে পারেনি। এভাবে আর একজন ভ্যানগাড়ী চালক মোঃ সোহ্রাফ হোসেন জানান, তার মেয়ে মরিয়াম আক্তার মনি তার কাছেও স্কুল কর্তৃপক্ষ ২৫ টাকা দাবী করে এবং উক্ত টাকা দিয়েই স্কুল থেকে বই আনতে হয়েছে।
এ প্রসংঙ্গে উপজেলা শিক্ষা অফিসার দুলাল কৃষ্ণ হালদার বলেন, পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে সরকার থেকে দেয়া হচ্ছে এখানে কোন প্রকার অজুহাতে যদি কেউ কোন অর্থ আদায় করে তবে সে দন্ডনীয় অপরাধ করেছে। আমরা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
অভিযোগের বিষয়ে পূর্ব রাজাপুর এম. হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তসলিমা নাসরিন বলেন, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২৫ টাকা করে চাঁদা নিচ্ছি। বইয়ের জন্য কোন টাকা নেয়া হচ্ছে না। টাকা দিতে না পেরে অনেক শিক্ষার্থীরা বই পায়নি এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষিকা বলেন, যারা পড়াশুনায় একটু কাঁচা, তাদেরকে বই দেয়া হয়নি। টাকার জন্য নয়। তাদের অবিভাবকদেরকে নিয়ে আসতে বলেছি।#
মন্তব্য চালু নেই