দুর্ধর্ষ আসামিদের বিচার ভিডিও কনফারেন্সে করার ব্যবস্থা হবে

বিচারপতিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্ষমতা কার কতটুকু সেটা না দেখিয়ে জনস্বার্থে ক্ষমতা কতটুকু প্রয়োগ করা যায় সে বিষয়টি বিবেচনায় থাকতে হবে। অনেকগুলো ধাপ পেরিয়ে জনপ্রতিনিধিরা একটি আইন করলেন, আর দু’জন বসে সে আইন নাকচ করে দিলেন। এটা যদি হয় তাহলে জনপ্রতিনিধিদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়।

শনিবার সকালে কাকরাইলে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের জন্য নবনির্মিত বাসভবন উদ্বোধনের পর আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিচারপতিদের জন্য নবনির্মিত বাসভবনে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে দুর্ধর্ষ আসামিদের ক্ষেত্রে এই ভবনে বসেই যাতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিচারকার্য পরিচালনা করা যায় সে ব্যবস্থাও করা হবে।

নবনির্মিত এই বাসভবনের উদ্বোধনের পর মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা কাজী মো. হাফিজুল হক।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ ছাড়া স্বাগত বক্তব্য রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহিদুল্লাহ খন্দকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতা নিয়ে কোনো দ্বন্দ্ব থাকা যাবে না। তিনটি অঙ্গকে যথাযথভাবে তাদের পরিকল্পনা করে কাজ করতে হবে। তাহলে রাষ্ট্র ভালোভাবে চলবে। দ্বন্দ্ব জাতির জন্য ভলো না। এতে জনমনে ভুল ধারণা সৃষ্টি হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচারকদের অনেক সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এজন্য তাদের নিরাপত্তাটাও খুব জরুরি। ইতোপূর্বে দু’জন বিচারপতিকে বোমা মেরে হত্যা করা হয়েছে। বিচারপতিদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আলাদা পরিবেশে তাদের আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে সিসি ক্যামেরা থেকে শুরু করে আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০তলা এই ভবনের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বিচারকদের আবাসন সঙ্কটের কিছুটা হলেও সমাধান হলো। এমনিভাবে শুধু ঢাকা শহরে নয়, জেলা শহরেও আমরা আবাসন সমস্যার সমাধান করব।



মন্তব্য চালু নেই