বৈশাখী উপহার শীতাতপ মৈত্রী ট্রেন

ঢাকা থেকে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা রুটে নতুন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি মৈত্রী ট্রেন উদ্বোধন করেছেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। এটিকে যাত্রীদের জন্য নববর্ষের উপহার হিসেবেই বলছেন রেলপথ মন্ত্রী। শুক্রবার সকালে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে এই ট্রেনটি উদ্বোধন করেন তিনি। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ট্রেন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নেন। আট কামরার এই ট্রেনটির চারটি কামরা প্রথম শ্রেণির, আর চারটিতে আছে চেয়ার কোচ।

ট্রেনটি উদ্বোধন করে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, ‘ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। ট্রেনটি চলার মধ্য দিয়ে নববর্ষের প্রথম দিনেই ভারত-বাংলাদেশের সেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হয়েছে।’

ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও মোদির নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নীত হয়েছে। আগামীতে এ সম্পর্ক আরও উন্নত হবে।’

রেল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা ব্রডগেজ বগি ব্যবহার করা হয়েছে এই ট্রেনে। আট কামরার নতুন এই ট্রেনটিতে ৪৫৬টি আসন রয়েছে। ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস সংক্রান্ত কাজ যদি ঢাকায় সম্পন্ন করা যায় তাহলে যাত্রীদের চার ঘণ্টা সময় বাঁচবে।

রেল সচিব ফিরোজ সালাউদ্দিন জানান, ২০০৮ সালের পয়লা বৈশাখে ঢাকা-কলকাতা রুটে প্রথম মৈত্রী ট্রেন চলাচল শুরুর পর ট্রেনের যাত্রী ছিল খুবই কম। কিন্তু এখন টিকিটের জন্য যাত্রীদের মধ্যে চাহিদা প্রবল। বর্তমানে যাত্রীদের মধ্যে মৈত্রী ট্রেনের আকর্ষণ বেড়ে যাওয়ায় সপ্তাহে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে সপ্তাহে ছয় দিনই চলছে এই ট্রেন। তিন দিন কলকাতা থেকে ট্রেন ঢাকা যাচ্ছে আর তিনদিন ঢাকা থেকে ছেড়ে কলকাতা আসছে। এর মধ্যে দুদিন বাংলাদেশের রেক দিয়ে ট্রেন চালানো হলেও বাকি চারদিনই ভারতীয় রেক দিয়ে ট্রেন চালানো হচ্ছে। নতুন এই ট্রেনটি চালু হওয়ায় যাত্রীদের চাহিদা মেটানো সহজ হবে বলে আশা করছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব আরও বলেন, এই ট্রেনটি ছাড়াও খুলনা-কলকাতা রুটে আরও একটি মৈত্রী ট্রেন চালু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে গত ৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে ট্রেনটি উদ্বোধন করেছিলেন। ট্রেন উদ্বোধনের সময় রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই