মেট্রোরেলের জন্য চুক্তি এ মাসেই
বহুল প্রতীক্ষিত ‘ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬’ নির্মাণের জন্য এই মাসের শেষ নাগাদ সরকার তিনটি চুক্তি স্বাক্ষর করবে। ‘ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড’ (ডিএমটিসিএল)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘আমরা এমআরটি লাইন-৬-এর আওতায় মেট্রো রেল লাইন, স্টেশন ও ডিপো সম্পর্কিত আলাদা তিনটি চুক্তি এপ্রিলের শেষে স্বাক্ষরের আশা করছি। পাশাপাশি রোলিং স্টক বিষয়ক চুক্তি সম্পর্কিত আলোচনার ৯৫ শতাংশ শেষ হয়েছে।’
এমআরটি লাইন-৬- এর প্রকল্প পরিচালক মোফাজ্জেল হোসেন জানান, ওই তিনটি প্যাকেজের আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার কোটি টাকা। বিষয়টি বর্তমানে ভেটিং-এর জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে।
সিপি-২, সিপি-৩, সিপি-৪ সহ ডিএমটিসিএল তিনটি পৃথক চুক্তি স্বাক্ষর করবে উল্লেখ করে প্রকল্প পরিচালক বলেন, জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) সম্মতি এবং ডিএমটিসিএিল-এর বোর্ডের অনুমোদন পাওয়ার পর আমরা এ বিষয়ে নোটিফিকেশন জারি করেছি। তিনি আরো জানান, রোলিং স্টক-এর জন্য সিপি-৮-এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের কাজ এ মাসেই সম্পন্ন হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ২৪ জুন দেশের প্রথম মেট্রো রেলের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন। এমআরটি লাইন-৬ হচ্ছে এলিভেটেড মেট্রো রেল সিস্টেম। রাজধানীর উত্তরা থেকে মিরপুর ও ফার্মগেট হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত এই মেট্রো রেল ১৬টি স্টেশনে থামবে। দ্রুতগামী মেট্রো রেল প্রতি চার মিনিট পর পর একটি স্টেশনে থামবে এবং প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এমআরটি-৬ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাইকা দিবে ১৬ হাজার কোটি টাকা। বাকি তহবিলের যোগান দিবে বাংলাদেশ সরকার। সূত্র : বাসস।
মন্তব্য চালু নেই