ভারী বষর্ণ ও পাহাড়ি ঢলে মদনে বোরো ফসলের ক্ষতি
প্রতিনিধি (নেত্রকোনা) মদন : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি ও ভারী বষর্ণে নিম্নাঞ্চলের ইরি-বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে। বেড়ি বাঁেধ সঠিক ভাবে মাটি না কাটায় ধনু ও মগড়া নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে গত তিন দিনে বাঁধ দিয়ে পানি ইরি-বোরো ক্ষেতে প্রবেশ করে প্রায় শতাধিক হেক্টর জমির বোরো ধান তলিয়ে গেছে। আরো শতাধিক হেক্টর জমি হুমকির মুখে। কৃষকরা তাদের একমাত্র ইরি-বোরো ধান রক্ষার জন্য দিন রাত বেরি বাঁধ ও সুইজ গেটে মাটি কেটে পানির প্রবেশ ঠেকানোর চেষ্টা করছে। উপজেলার মদন ইউনিয়নের পাছকোনিয়া, পরাচ কুনিয়া, গুনিয়াজান, ফতেপুর ইউনিয়নের রামনগর দাইর, মরাদাইর, চিপারদাইর, হরগারডর, কোপেরআইল, হেলি, জয়রা, পদেরকোনা, রামদাসখিলা, রুহিলী, নয়াপাড়া, ঘাটুয়া, গজারিয়া, গোবিন্দশ্রী, তিয়শ্রী চাতল, আশাঁ, বোয়ালি জগন্নাথপুর, রসুলপুর গ্রামের হাওড়ে অনেক জমির ফসল তলিয়ে গেছে এবং বহু জমি হুমকির মুখে রয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আরো শতশত একর জমি তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফতেপুর ইউনিয়নের কৃষক মনির হোসেন চৌধুরী আক্কু জানান, আগাম বন্যায় আমার ৫ একর বোরো জমিসহ এলাকার কৃষকদের শতাধিক হেক্টর নীচু জমি তলিয়ে গেছে।
মাঘান পদারকোনা গ্রামের কৃষক জিয়াউর রহমান, নাসির উদ্দিন, আজাদ মিয়া জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক পদারকোনা সুইজ গেট সংলগ্ন বেরি বাধঁ নির্মাণে ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে অনেক জমি তলিয়ে গেছে ও শত শত একর কৃষি জমি হুমকির মুখে রয়েছে। আমাদের দাবি বাধেঁর প্রয়োজনীয় স্থানে মাটি না কেটে উচুঁ স্থানে দায়সাড়া গোছের কাজ সম্পন্ন করে ঠিকাদার বিল উত্তোলনের পায়তারা করছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ওয়ালীউল হাসান কৃষকদের জমি তলিয়ে যাওয়ার সংবাদের প্রেক্ষিতে শনিবার হাওর এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে কৃষকদের দূরাবস্থা দেখি এবং আর যাতে কোন ক্ষতি না হয় সেজন্য বাধেঁ কৃষকদের সাথে ৪০ দিনের কর্মসূচির শ্রমিকদেরকে এ কাজে লাগার নির্দেশ দিয়েছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে আলোচনা করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের পদক্ষেপ নিচ্ছি। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করার জন্য কৃষি অফিসকে বলেছি।
মন্তব্য চালু নেই