‘যুদ্ধাপরাধী পরিবারের নাগরিকত্ব বাতিল প্রক্রিয়া শুরু’
নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ‘যুদ্ধাপরাধী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নাগরিকত্ব বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে।’
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) স্বাধীনতা হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ ও আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলনের যৌথ উদ্যোগে ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস ঘোষণার প্রস্তাব সংসদে গৃহীত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও সংসদ সদস্যদের ধন্যবাদ জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
নৌমন্ত্রী বলেন, ‘জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। পালিয়ে যাওয়া যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানি সেনাদের বিচার প্রক্রিয়ার প্রাথমিক কাজ হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে।’
এ সময় ২১ দফা দাবি তুলে ধরেন শাজাহান খান। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- যাদের পাকিস্তানিরা ‘সাচ্চা পাকিস্তানি’ বলে আখ্যা দিয়েছিল তাদের নাগরিকত্ব বাতিল এবং তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব সৈন্যরা গণহত্যা, ধর্ষণসহ সব ধরনের নির্যাতনের নেতৃত্ব দিয়েছিল, সেই ১৯৫ জন পাকিস্তানি সৈন্যের বিচারকার্য বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে জনমত গঠন করতে হবে, বাংলাদেশে আটকে পড়া অবাঙালি পাকিস্তানিদের পাকিস্তানে ফেরত নিতে বাধ্য করতে হবে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত জামায়াত-শিবিরের প্রাক্তন ও বর্তমান নেতা-কর্মীদের অপসারণ করতে হবে এবং ১৯৭২ সালে চিহ্নিত সাড়ে ১১ হাজার দালাল-যুদ্ধাপরাধীকে বর্তমান বিচারের আওতায় আনতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতারসহ আয়োজক সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য চালু নেই