‘বাবুলের পরকীয়ার কারণে মিতু ও আকরামকে হত্যা’

সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের পরকীয়ার কারণেই তার স্ত্রী মাহামুদা খানম মিতু এবং এসআই আকরামের হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে এসআই আকরামের বোন জান্নাত আরা পারভিন।

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম গোয়েন্দা পুলিশের দপ্তরে মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ জানানোর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ অভিযোগ করে তিনি।

তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের এডিসি মো. কামরুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বাইরে বের হয়ে এসে জান্নাত আরা পারভিন বলেন, ‘আকরাম হত্যার পর বাবুল আক্তারের প্রভাবের কারণে আমরা মামলা করতে পারিনি। ঘটনাটি তারা তখন সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দিয়েছিলেন। আদালতের মামলায় বাবুল আক্তারের প্রভাবের কারণে তার নাম দেওয়া সম্ভব হয়নি। দেশের বাইরে থেকে তিনি (বাবুল আক্তার) আকরাম হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘আকরাম নিহত হওয়ার পর আকরামের স্ত্রী বনানী বিনতে বশির ওরফে বন্নি বাবুলর আক্তারের মাগুরার বাড়িতে রয়েছেন। আমরা আকরাম হত্যার বিচার চাইতে এসেছি। বন্নি এবং বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।’

আকরামকে হত্যার পর মিতুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বন্নি নিজের পথ পরিষ্কার করেছেন- দাবি করেন নিহত এসআই আকরামের ভাগ্নি ডলি। তিনি বলেন, ‘আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।’

এসআই আকরামের বোন ও ভাগ্নির সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এডিসি কামরুজ্জামান বলেন, আকরামের বোন লিখিত অভিযোগ দেননি। কিছু তথ্য দিয়েছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে সেগুলো প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

প্রয়োজনে আকরামের স্ত্রী বন্নিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানান তিনি।

এর আগে সকালে সিএমপির গোয়েন্দা অফিসে আসেন জান্নাত আরা পারভিন এবং ডলি। প্রথমে তারা কামরুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করে বাইরে চলে যান। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুনরায় ডিবি কার্যালয়ে আসেন। একঘণ্টা ধরে তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার পর দুইজন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।



মন্তব্য চালু নেই