খুলনা: সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে ট্যাংকার ডুবির ঘটনার ৬ষ্ঠ দিনেও আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে চলছে তেল সংগ্রহের কাজ। রোববার দুপুর একটা পর্যন্ত সর্বমোট ২৫ হাজার লিটার ফার্নেস ওয়েল সংগ্রহ করা হয়েছে।
অধিবাসীরা ভাটার শুরুতে তাদের নৌকা নিয়ে সুন্দরবনের নদী খাল এবং বিভিন্ন চরে চলে যাচ্ছেন এবং জোয়ার শুরু হলে তারা সংগ্রহ করা তেল নিয়ে জয়মনি গ্রামে ফিরে আসছেন। মাটি এবং নানা ধরনের আবর্জনা মেশানো ফার্নেস অয়েল জালে ছেকে কিছুটা পরিষ্কার করে তবে তা সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানান তেল সংগ্রাহক রফিকুল ইসলাম বাবলু।
মংলা বন্দরের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ভুইয়া বলেছেন, ‘স্থানীয় মানুষদের সম্পৃক্ত করে তাদের তেল সংগ্রহ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত সর্বমোট ২৫ হাজার লিটার ফার্নেস ওয়েল সংগ্রহ করা হয়েছে।’ একই কথা বলেছেন সুন্দরবন সংরক্ষক কার্তিক চন্দ্র সরকার।
এদিকে শ্যালা নদীতে ডুবে যাওয়া তেলবাহী ট্যাংকারের নিখোঁজ মাস্টার মোখলেসুর রহমানের মৃতদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মৃতদেহ দেয়া হবে স্বজনদের কাছে।
সকাল ৭টার দিকে নিখোঁজ মাস্টার মোখলেসুর রহমানের লাশ উদ্ধার করা হয়।
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের আঞ্চলিক অধিনায়ক ক্যাপ্টেন খন্দকার মেহেদি মাসুদ জানিয়েছেন, সকাল ৭টার দিকে নিখোঁজ মাস্টার মোখলেসুর রহমানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মৃতদেহ স্বজনদের কাছে দেয়া হবে ।
নিহত মোখলেসের বড় জামাতা শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, তারা লাশ গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার পবা ইউনিয়নের লক্ষিপাশা নিয়ে যাবেন। দাফন হবে সেখানেই।
এদিকে শ্যালা নদীতে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় মংলা বন্দর এবং জাহাজের সরবরাহকৃত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়েছে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।
এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মন্ত্রণালয়ে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে পরিবেশসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রধানদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে শ্যালা নদী দিয়ে বাণিজ্যিক নৌযান চলাচল করবে কিনা।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ভোরে শ্যালা নদীর মৃগামারী (মংলা) এলাকায় তলা ফেটে একটি তেলবাহী ট্যাংকার ডুবে যায়। এতে জাহাজ থেকে তেল ছড়িয়ে পড়ায় বিলুপ্ত প্রায় ইরাবতী ডলফিনসহ ছয় প্রজাতির ডলফিন ও সুন্দরবনের জীববৈচিত্র চরম হুমকির মুখে পড়ে।
মন্তব্য চালু নেই