সুন্দরগঞ্জের চন্ডিপুর ইউপি নিবার্চন প্রক্রিয়ায় কৌতুহল
নুরুল আলম ডাকুয়া, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি :: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৪ নং চন্ডিপুর ইউপি’র সাধারণ নির্বাচন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এতে নির্বাচনেচ্ছু সম্ভাব্য প্রার্থীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের মাঝে ব্যাপক কৌতুহল দেখা দিয়েছে।
বিভিন্ন তথ্যে জানা যায়, গত বুধবার (১০ জানুয়ারী) মহামান্য হাই কোর্ট বিভাগের ৩৩ নং বেঞ্চের বিজ্ঞ বিচারপতি মিঃ আশফাকুল ইসলাম ও মিঃ আশীষ রঞ্জন দাস-এর সমন্বিত বেঞ্চে উক্ত ইউপি’র সাধারণ নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা রীট পিটিশনের কার্য্যক্রম ন্থগিত করা হয়েছে। এরআগে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশক্রমে রীট পিটিশনের ৩নং বিবাদী গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক, ৪নং বিবাদী সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ৫নং বিবাদী জেলা নির্বাচন অফিসার ও ৬নং বিবাদী সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অঢিসারসহ ৮নং বিবাদী এম,এ, মালেক লিখিত জবাব দাখিল করেন। মর্মে এসব লিখিত জবাবের প্রেক্ষিতে দীর্ঘ শুনানী অন্তে উক্ত রীট পিটিশনের কার্য্যক্রম স্থগিত করেন বিজ্ঞ বিচারপতিগণ। শুনানীকালে ৮নং বিবাদী এম,এ, মালেকের পক্ষে আইনজীবি মিঃ শরফরাজ মিয়া ও আঃ মতিন সরদারসহ ১০নং বিবাদীর আইনজীবি যুক্তিতর্কে উপস্থিত ছিলেন। যার রীট পিটিশনের নং ১০০৩০/১৫।
এরপর বিজ্ঞ হাইকোর্ট বেঞ্চর ঐ রীট পির্টিশনটি স্থগিতাদেশের প্রেক্ষিতে জেলা নির্বাচন অফিসার-শাহিনুর ইসলাম প্রমানিক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার- হাবিবুল আলম, উপজেলা নির্বাচন অফিসার- আঃ মালেক’র সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে কথা হলে, তাঁরা বলেন-এখনও কোন কাগজপত্র পাইনি। তবে বিষয়টি শুনেছি। এদিকে, রীট পির্টিশনের কার্য্যক্রম স্থগিতাদেশের খবর জানাজানি হলে ইউপি’র এই সাধারণ নির্বাচনে সকল পদে নির্বাচনেচ্ছু সম্ভাব্য প্রার্থীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের মাঝে ব্যাপক কৌতুহল দেখা দিয়েছে।
ইউনিয়নটির সর্বস্তরের জনসাধারণ বিচার বিভাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তাঁরা বলেন- যেহেতু, ইতঃমধ্যে বিজ্ঞ আদালত রীট পিটিশনে সম্পৃক্ত থাকা ১৫ নং কাপাসিয়া ও ১১ নং হরিপুর ইউপি’র সাধারণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। সেহেতু, ১৪ নং চন্ডিপুর ইউপি’র নির্বাচনী প্রক্রিয়া চালানো দরকার। প্রতিক্রিয়ায় বলেন- কোন ব্যাক্তি বা মহল স্বার্থ চরিতার্থের জন্য মহামান্য হাইকোর্টে রীট পিটিশন করে নির্বাচন স্থগিত চাওয়ায় ভোটাধিকার প্রয়োগ পূর্বক প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষমতা খর্ব করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, পিটিশনের ৮ নং বিবাদী ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এম,এ, মালেক বলেন- মহামান্য আদালত ৫ নং বিবাদীকে হালনাগাদ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। তাই, ৫ নং বিবাদীর প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করছে এই নির্বাচন।
মন্তব্য চালু নেই