সাঁওতাল পল্লীতে আগুন দেয় পুলিশ : আলজাজিরার ভিডিও

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রংপুর চিনিকলের জমিতে গড়ে ওঠা সাঁওতাল পল্লীতে আগুন দেয় পুলিশ। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। মাহের সাত্তারের করা ২ মিনিট ২০ সেকেন্ডের ওই প্রতিবেদনের ভিডিওচিত্রে দেখা যায় একজন পুলিশ ও গোলাপী টিশার্ট পরিহিত এক ব্যক্তি সাঁওতালদের ঘরে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। এরপর শার্ট পরিহিত আরেক ব্যক্তি ঘরে আগুন দিচ্ছে।

প্রতিবেদনের শুরুতে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের সাঁওতাল আদিবাসীরা গত মাসে তাদের জমি ফিরে পেতে আন্দোলনে নেমেছিল, আর এ মাসে তাদেরকে গাছ তলায় বাস করতে হচ্ছে। প্রতিবেদনে পুলিশের বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে, সাঁওতালরা তীর-ধনুক নিয়ে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর হামলা করে। ভিডিও ফুটেজে দেখানো হয়, একজন পুলিশ ও সাদা পোশাকের দুই ব্যক্তি সাঁওতালদের ঘরে আগুন দিচ্ছে।

প্রতিবেদনে ওই ঘটনায় ঢাকার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটউটে চোখে রাবার বুলেটবিদ্ধ অবস্থায় চিকিৎসারত দ্বিজেন টুডুর সাক্ষাৎকারও দেখানো হয়।

গত ৭ নভেম্বর সাঁওতালদের সঙ্গে চিনিকলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে সাঁওতালদের ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হলে দুই হাজারের উপর ঘর পুড়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ গুলি চালায়। এতে তিন সাঁওতাল নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হন।

সাঁওতাল ও বাঙালিদের ১৮টি গ্রামের ১ হাজার ৮৪০ দশমিক ৩০ একর জমি ১৯৬২ সালে অধিগ্রহণ করে চিনিকল কর্তৃপক্ষ আখ চাষের জন্য সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার গড়ে তুলেছিল। সেই জমি ইজারা দিয়ে ধান ও তামাক চাষ করে অধিগ্রহণের চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ তুলে তার দখল ফিরে পেতে আন্দোলনে নামে সাঁওতালরা।

সাঁওতালদের দাবি, ওই জমি তাদের বাপ-দাদার। অধিকৃত জমিতে আখ বাদে অন্য কিছু চাষ করা হলে শর্ত অনুযায়ী সেই জমি তাদেরকে ফিরিয়ে দেবার কথা ছিল।



মন্তব্য চালু নেই