প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা স্কুল সময়ে বাড়ীতে : আগেই ছুটি
হামিদা আক্তার, নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত সসয়ের পূর্বেই ছুটি পেয়ে স্কুল সমেয় বাড়ীতে বসে। ডিসেম্বর মাসে তেমনটা ক্লাস হয় না তাই একটু তারাতারি ছুটি দেওয়া হয়েছে। এমনটাই বললেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালরেয়র প্রধান শিক্ষক। গত ৬ ডিসেম্বর সরজমিনে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বন্দর খড়িবাড়ী ডাঙ্গাপাড়া মশিউর স্মৃতি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে চোখে পড়ে প্রাথমিক শিক্ষার যেন বেহাল অবস্থা। বেলা ২.৫০ মিনিটে বিদ্যালয়ের মাঠে বিভিন্ন সংবাদ পত্রে কর্মরত সংবাদকর্মীরা হাজির হতেই আশ পাশের বেশ কয়েক জন ছাত্র-ছাত্রী ছুটে আসে বাড়ী থেকে।
বিদ্যালয়টি বন্ধ থেকে ক্যামেরা বন্দি করেই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলামকে মোবাইল ফোনে জানতে চান সংবাদকর্মীরা আজ স্কুল কি ছুটি নাকি বন্ধ রয়েছে ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না। স্কুল কয়টা পর্যন্ত খোলা রাখার নিয়ম রয়েছে ? তিনি বলেন, বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। তাহলে এত তারাতারি স্কুলটি বন্ধ করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, তাই নাকি। কেন এমনটা হয়েছে বিষয়টা আমি দেখছি। বন্ধ স্কুল মাঠে কথা হয় ঐ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র আশিকুর রহমানের পুত্র লাভলু, আব্দুর রউফ এর কন্যা চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী রোখসানা, নুরুদ্দিনের পুত্র তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র রাশেদ জানালো স্কুলের শিক্ষার অবস্থা। আজ কয়টা ক্লাশ হয়ে তোমাদের ছুটি দিয়েছে স্যাররা ? একটা করে ক্লাস তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা, চতুর্থ শ্রেণীর সমাজ ক্লাস নিয়ে আমাদেরকে ছুটি দিয়েছে। স্কুলের আরো নানাদিক তুলে ধরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলতে বলতেই ততক্ষইে ছুটে আসেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল হামিদ স্যার।
তিনি বলেন, আমরা ৩ টার দিকে স্কুল ছুটি দিয়েছি। আমি সমাজ বিজ্ঞান ও সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম স্যার বাংলাা ক্লাস নিয়েছেন। অন্য শিক্ষক মোঃ আতিয়ার রহমান স্যার ক্লাস নেয়নি এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন নিয়েছেন তবে কি ক্লাস নিয়েছেন তা বলতে পারবো না। প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক স্যার আজ স্কুলে আসেননি প্রশ্নের জবাবে হামিদ স্যার বলেন,উনি স্কুলে এসেই অফিসের কাজের একটু তারাতারি চলে গেছেন। বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রী কতজন রয়েছে জবাবে হামিদ স্যার বলেন, ২১৬ জন।
তবে এদের মধ্যে ২৬ জন পঞ্চম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। এ সময় স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সময়ে কোন অর্থ বরাদ্দ হলেও তা বিদ্যালয়ে ব্যয় না করেই তা ম্যানেজিং কমিটিসহ আত্মসাৎ করে ফেলেন। শুনেছি চলতি বছরের জুন ক্লোজিং-এ স্লিপ এর অর্থ ৪৫ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও তা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
স্কুল মেরামতের জন্য আরো প্রায় ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ পেলেও তা ব্যয় করা হয়নি স্কুলে। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শিক্ষা উপকরণ ক্রয়ের জন্য ৫ হাজার টাকা সরকারী ভাবে পেলেও কোন উপকরণ ক্রয় করা হয়নি। এসব অভিযোগ বিষয়ে সরাসরি উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ফজলুল হকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ডিসেম্বর মাস তাই স্কুলে একটু ক্লাস কম নেওয়া হয়। তবে যত টাকা বরাদ্দের কথা স্থানীয়রা বলেছে তা সঠিক নয়। হ্যাঁ কিছু টাকা স্লিপের অর্থ হিসেবে পেয়েছি তা সঠিকভাবে ও নিয়ম অনুযায়ী ব্যয় করা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই