‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে সবাই আমাদের পাশে আছে’
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে পৃথিবীর প্রায় সব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা আমাদের পাশে আছে। সমস্যা সুরাহার লক্ষ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
সোমবার বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ অধিবেশনে আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রীও গত পরশু দিন হাঙ্গেরি সফরের সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত কথা বলেছেন। আমরা সেই লাইনে কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, প্রশ্নকর্তা যেভাবে বলেছেন আসলে বিমসটেকে এ সমস্যা সেভাবে উত্থাপন করা যায় না। সব আন্তর্জাতিক ফোরামেই কোনো ইস্যু উত্থাপন করতে হলে তার গ্রাউন্ড ওয়ার্ক করতে হয়। তবে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে নানা সময় রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা বলেন। এর আগে জাতিসংঘের ৭১তম সাধারণ অধিবেশনেও তিনি কথা বলেছেন। গত অক্টোবরে গোয়াতে অনুষ্ঠিত বিমসটেক আন্তর্জাতিক সম্মেলনও মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলের সঙ্গে কথা হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমি লাওসে আসিয়ান রিজিওনাল ফোরামে ম্যাডাম সুচির সঙ্গে কথা বলেছিলাম। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে আমাদের পররাষ্ট্র সচিবকে পাঠিয়েছিলাম। সেখানে যে কথা হয়েছে এবং তিনি (সুচি) যেসব কথা বলেছেন, তা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। তিনিও চেষ্টা করছেন, তার নিজেরও সদিচ্ছা রয়েছে। তার দেশের সরকারের মধ্যে অনেক সমস্যা আছে, এগুলো আপনারা জানেন। কাজেই সম্পূর্ণ বিষয়টা অত্যন্ত সংবেদনশীল পর্যায়ে রয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী আরও বলেন, পৃথিবীর প্রায় সব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা আমাদের পাশে আছে। আসিয়ানের মধ্যেও কয়েকটি দেশ ব্যাপারটা সুরাহার জন্য মিয়ানমানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা অব্যাহত রাখছি।
সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে যেসব রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে মানবিক কারণে যেটুকু করার আমরা করছি। আমাদের বিজিবির কঠোর পাহারা সত্ত্বেও তারা অনেক জায়গায় চলে এসেছে। মানবিক কারণে তাদের খাদ্য এবং অন্যান্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আগামী ১০-১২ ডিসেম্বর জাতিসংঘের একটি সংস্থার সম্মেলন ঢাকায় হতে যাচ্ছে, সেখানে মাইগ্রেশন ও অভিবাসন বিষয়ে আলোচনা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
মন্তব্য চালু নেই