‘২০১৮ সালের মধ্যে নিরক্ষরমুক্ত হবে দেশ’

২০১৮ সালের জুন মাসের মধ্যে দেশকে নিরক্ষরমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের একথা জানান মন্ত্রী।

গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকারি অর্থ খরচ না করে ২০১৫ সালে দিনাজপুরের ফুলবাড়িয়া এবং পার্বতীপুর উপজেলাকে নিরক্ষরমুক্ত করা হয়েছে। নিরক্ষরমুক্ত দুই উপজেলাকে পাইলট প্রকল্প ধরে দেশের সব উপজেলাকে এর আওতায় আনা হবে। আশা করছি, ২০১৮ সালের জুন মাসের মধ্যে দেশকে নিরক্ষরমুক্ত করা যাবে।

তিনি আরো বলেন, সরকারের কোনো অর্থ ব্যয় না করেই স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী, সুশীল সমাজ এবং স্থানীয় শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকার শিক্ষিত সচেতন মানুষের মাধ্যমে দুই উপজেলাকে নিরক্ষরমুক্ত করা হয়েছে। এভাবেই সরকারি অর্থ খরচ না করেই বেসরকারি পর্যায়ে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নীতিগতভাবে সমর্থন দিয়েছেন।

মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ফুলবাড়িয়া ও পার্বতীপুর উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার নিরক্ষর মানুষকে এক বছরের মধ্যে অক্ষরজ্ঞান দেওয়া হয়েছে। এভাবেই দুটি উপজেলাকে নিরক্ষরমুক্ত ঘোষণা করা হয়।

তিনি বলেন, দেশের ২৫০ উপজেলার ৪৫ লাখ মানুষকে অক্ষরজ্ঞান দিতে ২০১৪ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৪৫২ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো জানান, দেশের এই ৪৫ লাখ লোককে নিরক্ষরমুক্ত করতে এনজিওকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। একনেকে পাস করা এ প্রকল্প বাস্তবায়নে এনজিও বাছাইয়ের প্রক্রিয়া চলছে। এই প্রকল্প সঠিক বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নির্ধারিত ২৫০ উপজেলার নিরক্ষর মানুষের জরিপ থাকা প্রয়োজন। তা না হলে এনজিগুলো অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন লোকদের নিরক্ষর করার ঘোষণা দেবে প্রকল্পের আওতায়। তাতে দেশের প্রকৃত নিরক্ষর মানুষগুলো নিরক্ষরই থেকে যাবে।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘রাজনীতির পাশাপাশি স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এবং শিক্ষিত মানুষকে সম্পৃক্ত করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সারাদেশে কত মানুষ নিরক্ষর তা জরিপ করা হবে ও তাদের সহায়তায় নিরক্ষর মানুষদের দেড় বছরের মধ্যে অক্ষর জ্ঞান দেওয়া হবে।’

মন্ত্রী জানান, দেশের আট বিভাগে দফায় দফায় দলীয় নেতাকর্মীদের ডেকে এ বিষয়ে বৈঠক করে নির্দেশনা দেওয়া হবে। দিনাজপুরের কাজটিকে সামাজিক কাজের পাইলট প্রকল্প ধরে তাদের এ কাজে সম্পৃক্ত করা এবং প্রয়োজনীয় বিষয় জানানো হবে। শিক্ষিত সব মানুষকে শিক্ষক ধরেই চলবে নিরক্ষরমুক্ত করার বিশেষ উদ্যোগ বাস্তবায়ন।



মন্তব্য চালু নেই