মানবতাবিরোধী অপরাধ : পলাতক ইদ্রিসের রায় আজ
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শরীয়তপুরের পলাতক ইদ্রিস আলী সরদারের (৬৭) বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় রায় ঘোষণা হবে আজ।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ রায় ঘোষণা করা হবে। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রোববার এই দিন ঠিক করেন।
এর আগে গত ২ নভেম্বর উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষামান রাখা হয়। ওই দিন ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আলম মালুম ও রেজিয়া সুলতানা চমন। রেজিয়া সুলতানা চমন জানান, যুক্তিতর্কে তারা আসামি ইদ্রিস আলীর সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছেন।
এই মামলায় আটক আরেক আসামি মো. সুলা্ইমান মোল্লা (৮৪) সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে শরীয়তপুরের মো. সুলা্ইমান মোল্লা ও ইদ্রিস আলী সরদারের (৬৭) বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, নিযাতন, লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগসহ চার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে তদন্ত সংস্থা। আসামিরা শরীয়তপুর জেলার পালং থানার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিপুর মুসলিম পাড়ার অধিবাসী।
অভিযোগ রয়েছে, সোলায়মান মোল্লা ১৯৬৩ সালের পর মুসলিম লীগের নেতা হিসেবে শরীয়তপুর জেলার পালং থানার সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
আর গাজী ইদ্রিস আলীও একই ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ করেন। তিনি ১৯৬৯ সালে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ‘ইসলামি ছাত্র সংঘের’ নেতা ছিলেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ইদ্রিস ইসলামী ছাত্র সংঘের সক্রিয়কর্মী ছিলেন। গত বছরের ১৫ জুন সোলায়মান মোল্লা আটক হন। ইদ্রিস আলী এখনো পলাতক রয়েছেন।
তদন্ত কর্মকর্তা মো. হেলাল অনুসন্ধান শেষে ইদ্রিস ও সোলায়মানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। গতবছরের ২২ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল তা আমলে নিয়ে চলতি বছর মে মাসে অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে মোট ১৩ জনের সাক্ষ্য শুনেছেন আদালত।
মন্তব্য চালু নেই