প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরে অগ্রাধিকারের তালিকায় তিস্তা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর ভারত সফর করবেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা এই সফরে যাচ্ছেন। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে প্রায় ২০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে। তবে তিস্তা চুক্তি বেশি গুরুত্ব পাবে।

পশ্চিমবঙ্গের প্রভাবশালী দৈনিক আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বুধবার এ কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশ অনেকগুলো কারণেই দু’দেশের চোখ ওই দু’দিনের দিকে। জানা গিয়েছে, এই সফরে ঢাকার দিকে থেকে জল সহায়তার দিকে প্রধান নজর থাকবে। সন্ত্রাসবাদ দমনের বিষয়ে চোখ থাকবে দু’তরফের। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য, হাসিনার এ বারের সফরের নতুন বিষয় হিসেবে পারমাণবিক, মহাকাশ, উপগ্রহ, বাণিজ্য সহযোগিতা-সহ ২০টির বেশি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার জোরদার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্রগুলো বলছে, দু’দেশের ভেতরে চুক্তি, প্রকল্প-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

আনন্দবাজার জানায়, তিস্তা চুক্তি ঢাকার অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকবে। চুক্তি সম্পাদনের জন্য সরকার দিল্লিকে বলেছে। ২০১১তে কংগ্রেস সরকারের শাসন কালে ঢাকাতে এসেছিলেন তত্কালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। সেই সফরে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের কথা প্রায় নিশ্চিত থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতায় সে বার তা আলোর মুখ দেখেনি। ঢাকার প্রত্যাশা, ভারত সরকারের সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব এ চুক্তি করে ফেলা। গঙ্গা বাঁধ নিয়েও সমাধান প্রত্যাশিত।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রবিবার বাংলাদেশের বিদেশসচিব এম শহিদুল হকের সঙ্গে দেখা করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। এর পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘জল সহযোগিতা নিয়ে দু’দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে।’’ ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর আগামী ৩০ নভেম্বর দু’দিনের সফরে ঢাকা আসবেন। এটিই হবে ভারতের কোনও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর প্রথম ঢাকা সফর। সেই সময়ে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার সহযোগিতার একটি রূপরেখা কাঠামো নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই আলোচনার বিষয়গুলো শেখ হাসিনার ভারত সফরে আলোচনা টেবিলে আসাটাই স্বাভাবিক।



মন্তব্য চালু নেই