রাণীনগরে নিষিদ্ধ সুতি জাল দিয়ে মাছ নিধনের ধুম ॥ নজর নেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের

কাজী আনিছুর রহমান, রাণীনগর (নওগাঁ) : নওগাঁর রাণীনগরে মুক্ত জলাশয়ে একদিকে চলছে পোনা মাছ অবমুক্ত করার উৎসব,আর অন্য দিকে এলাকার অসাধু ব্যাক্তিরা সুতি ও খড়া জাল দিয়ে মাছ ধরার ধুম ফেলে দিয়েছেন। কোন কিছুকে তোয়াক্কা না করে মৎস্য অফিসের নাকের ডগায় নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ ধরলেও এখনো নজরে আসেনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।

এলাকায় মাছের চাহিদা পুরুনের লক্ষে উপজেলার রক্তদহ বিল সংলগ্ন বিল আবরায় মাত্র কয়েক দিন আগেই মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। এই মাছ গুলো মুক্ত জলাশয়ে বড় হয়ে বংশ বিস্তার করবে এবং এলাকায় সারা বছর মাছ পাওয়া যাবে এবং মাছের চাহিদা পুরণ হবে। এছাড়া ওই সব মুক্ত জলাশয় থেকে মাছ ধরে এলাকার গরীব মৎস্যজীবীরা জীবিকা নির্বাহ করবে। কিন্তু কিছু অসাধু মৎস্যজীবীরা নিষিদ্ধ সুতির জাল দিয়ে সব রকমের মাছ ধরে ফেলছে। এতে দেশীয় ছোট মাছ সহ বিভিন্ন জাতের মাছ আতুরেই বিলিন হয়ে যাচ্ছে।

রাণীনগর উপজেলার বেলোবাড়ি-দাউদপুর, সিংড়াডাঙ্গা ও সাতানী (পূর্ব চকবোলারাম), রক্তদহ বিল ও রতনডারী খালসহ বিভিন্ন খাল ও বিলে চলছে নিষিদ্ধ সুতি ও খড়া জাল দিয়ে মাছ নিধন। অর্থের লোভে নিষিদ্ধ এই সুতির জাল দিয়ে পোনা মাছ থেকে শুরু করে মা মাছ পর্যস্ত ধরে স্থাণীয় ও বাহিরের বিভিন্নœ বড় বড় বাজারে বিক্রি করছে।

এব্যাপারে স্থানীয় মৎস্যজীবী সাইদুল ইসলাম (৪০),মজিবর রহমান (৩২)সহ কয়েকজন জানান, প্রভাবশালী মহলের জোরে কতিপয় মৎস্যজীবী নামধারী ব্যক্তিরা নিষিদ্ধ এই সুতির জাল দিয়ে মাছ ধরার কারনে আগের মতো খালে/বিলে আল তেমন মাছ পাওয়া যায় না। তারা আরো জানান,সুতি জাল ও খড়া জাল থেকে কোন প্রকারের মাছ বের হতে পারে না। তাই এই জাল দিয়ে দিন-রাত মাছ ধরার কারণে মুক্ত জলাশয় থেকে মাছ হারিয়ে যাচ্ছে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: মেহেদী হাসান জানান, আমরা খুব শিঘ্রই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।



মন্তব্য চালু নেই