সুন্দরগঞ্জে কোরবানির পশু জবাইয়ের ধারালো অস্ত্র বিক্রির হিড়িক
নুরুল আলম ডাকুয়া, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) : আর মাত্র ক’দিন পর পবিত্র ঈদুল আযহা। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে পশু জবাইসহ পরিচর্যা করার জন্য ধারালো অস্ত্র বিক্রির হিড়িক পড়েছে।
উপজেলার মীরগঞ্জ, সুন্দরগঞ্জ বাজার, পাঁচপীর বাজার, মাঠের হাট, মজুমদার বাজার, বেলকা বাজার, বামনজাঙ্গা বাজার, কাঠগড়া হাট, শোভাগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে-ফিরে দেখা গেছে এসব ধারালো অস্ত্র বিক্রির হাল চিত্র। মানুষ ঈদে নিজেরাই পশু জবাইসহ পরিচর্যা করে থাকেন। গ্রাম-গঞ্জে কসাইদেরকে কোরবানির পশু পরিচর্যার কাজে খুব কম লাগানো হয়। এলাকার অসহায়, দুঃস্থ ও গরিব শ্রেণির মানুষদের দিয়ে এর পরিচর্যা করা হয়ে থাকে। প্রতি বছর কোরবানির জন্য নতুন নতুন ধারালো অস্ত্র ক্রয় করে থাকেন কোরবানি দাতারা। এ উপলক্ষ্যে কোরবানির এক মাস পূর্ব হতেই কামার শিল্পীরা ধারালো অস্ত্র তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অনেক কামার শিল্পী নিজেরাই তৈরিকৃত ধারালো অস্ত্র বাজারে নিয়ে পসরা বসিয়ে বিক্রি করে থাকেন। আবার অনেকে পাইকারি বিক্রি করে থাকেন। শান্তিরাম ইউনিয়নের কামার শিল্পী রনজিৎ কুমার সরকারের সাথে কথা হলে তিনি জানায় কামারি ধারালো অস্ত্রপাতির চাহিদা সবসময় থাকে না। বিভিন্ন মৌসুম অনুযায়ী এর চাহিদা দেখা দেয়। বিশেষ করে পবিত্র ঈদুল আযহার সময় বিভিন্ন প্রকার ধারালো অস্ত্রের চাহিদা পাওয়া যায়। বর্তমান বাজারে ১টি বটি ২শ হতে ৫শ, ১টি দাই ৩শ হতে ৬শ, ১টি বড় চাকু ৫শ-১ হাজার, ১টি কুঠার ৬শ হতে ৯শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষ্যে ক্রেতাগণের নিকট বটি, দা, কুড়াল, ছুরি, চাকুর চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়ে যায়। আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে মেশিনের সাহায্যে তৈরিকৃত বিভিন্ন প্রকার ধারালো অস্ত্রপাতি বাজারে আসায় কামারি ধারালো অস্ত্রের চাহিদা অনেকটা কমে গেছে।
মন্তব্য চালু নেই