মদনে ড্রেজার দিয়ে সরকারি পুকুর ভরাট করে দখলে নেয়ার পায়তারা
মদন (নেত্রকোণা) সংবাদদাতা : মগড়া নদীর খনন কাজের ড্রেজারকে কাজে লাগিয়ে সরকারি পুকুর ভরাট করে দখলে নেয়ার পায়তারা চলছে। নেত্রকোণার মদন উপজেলার দক্ষিণ হাসনপুর মৌজার ১৭৯ দাগের লিজ দেয়া সরকারি পুকুরে প্রশাসনের আদেশ অমান্য করে গত ৫ দিন ধরে ড্রেজারের বালি দিয়ে ভরাট করছে স্থানীয় জনগন। এতে সরকারি খাস জমি,পুকুর,বেদখল হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে হাসনপুর গ্রামের পুকুর সংলগ্ন বাসিন্দা আবু তা লেব,বাদল মিয়া,মতিউর রহমান,আব্দুল আজিজ বেপারী জানান,পুকুরের পাড় চতুর দিকে ভেঙ্গে যাওয়ায় মরণ ফাদেঁ পরিনত হয়েছে। তাই সকল লোকজনকে বলেই পুকুরটি ভরাট করছি।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ২ একর সরকারি এ পুকুরটি ৩ বছর মাছ চাষ করার জন্য রাজস্ব বিভাগ থেকে লিজ নেয় হাসনপুর গ্রামের এনামুল হায়দার । লিজ বাবদ তিনি প্রতি বছর ২৯ হাজার টাকা রাজস্ব বিভাগে জমা দেন। ড্রেজার ইঞ্জিনিয়ার মিলন মিয়া,হাসনপুর গ্রামের সুনু মিয়া,বাদল মিয়া,হবি,আবু তালেব,দুলাল মিয়া জোরপূর্বক ড্রেজারের বালি দিয়ে পুকুরটি ভরাট করে দখল করার পায়তারা করছে। পুকুর ভরাটের ব্যাপারে বাধাঁ দিলে তাকে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে পুকুরে থাকা প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছ ধরে জোরপূর্বক নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে উপজেলা রাজস্ব বিভাগে লিখিত ভাবে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী ইজারাদার এনামূল হায়দার জানান,অভিযোগের পর কিছুক্ষণ ড্রেজার বন্ধ রাখে। আবার রোববার থেকে পুরোদমে মাটি ভরাট কাজ চলছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এ ব্যাপারে হাসনপুর গ্রামের আবু তালেবকে পুকুরে মাটি ফেলতে নিষেধ করেছি। সেও কথা দিয়েছে আর মাটি ফেলবে না।
ইউনিয়ন ভূমি সরকারী কর্মকর্তা মোঃ ফজলু মিয়া আকন্দ পুকুর ভরাট করার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি বিষয়টি ভূমি কর্মকর্তাকে অবগত করব।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খুরশীদ শাহরিয়র জানান,এ সংবাদ পেয়ে আমি ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন ভূমি সরকারী কর্মকর্তাকে পুকুরে মাটি না পেলার জন্য দায়িত্ব দিয়েছি। তারা ব্যর্থ হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
ড্রেজার ইঞ্জিনিয়ার মিলন মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগ করেও ফোন বন্ধ থাকায় মতমত নেয়া সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য চালু নেই