মীর কাসেমের রিভিউ শুনানি রোববার

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) শুনানি আগামীকাল রোববার নির্ধারিত রয়েছে। শনিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, মামলাটি শুনানির জন্য কার্যতালিকার ১০ নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগ বেঞ্চে মামলার শুনানি হবে। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।

এর আগে গত ২৪ আগস্ট আসামিপক্ষের আইনজীবী রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানি শুরু করার পার পরবতী শুনানির জন্য রোববার দিন ঠিক করেন আপিল বিভাগ। ওই দিন মীর কাসেম আলীর পক্ষে করা সময় আবেদন খারিজ করে দেন আদালত। পরে তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন রিভিউ শুনানি শুরু করেন।

এর আগে রাষ্ট্রপক্ষের এক আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২১ জুন আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। পরে ২৫ জুলাই আপিল বিভাগ রিভিউ শুনানিতে এক মাস সময় আবেদন গ্রহণ করে ২৪ আগস্ট শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। ধার্য দিনে শুনানি শুরু করে রোববার পর্যন্ত মুলতবি করেন। গত ১৯ জুন মীর কাসেমের আইনজীবীরা রিভিউ আবেদন করেন।

একাত্তর সালের আলবদরের শীর্ষ তৃতীয় নেতা মীর কাসেম আলী। অন্যরা হলেন- ফাঁসি কার্যকর হওয়া জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ।

মীর কাসেম আলীকে আপিল বিভাগ যে সাতটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে তাকে কারাদণ্ড দিয়েছেন, তার সব কয়টিতেই খালাস চেয়ে এ আবেদন করা হয়। আবেদনে মীর কাসেমকে নির্দোষ দাবি করে ১৪টি যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে।

এর আগে জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে দেওয়া আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় গত ৬ জুন প্রকাশ করা হয়।

২০১৪ সালের ২ নভেম্বর মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের রায়ে মীর কাসেমের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ১৪টি অভিযোগের মধ্যে ১০টি প্রমাণিত হয়। এগুলো হলো ২, ৩, ৪, ৬, ৭, ৯, ১০, ১১, ১২ ও ১৪ নম্বর অভিযোগ। এর মধ্যে দুটিতে (১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগ) মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া চারটি অভিযোগে তাকে খালাস দেওয়া হয়।



মন্তব্য চালু নেই