যুদ্ধের সময় ধর্ষণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হতো

যুদ্ধ চলাকালে ধর্ষণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হতো বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ।

জাতীয় পার্টির নেতা ও যশোরের সাবেক সংসদ সদস্য সাখাওয়াত হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর সাত রাজাকারকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়ে মামলার রায় ঘোষণার পর এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তুরিন আফরোজ বলেন, ’৭১ সালে যারা এসব অপরাধ করেছে তারা সকলেই মানবতার শত্রু। আজকে যাদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হয়েছে শুধুমাত্র তারাই নয়, যারা এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িত তারা সকলেই মানবতার শত্রু।

তিনি আরও বলেন, ’৭১ সালের এমন অনেক তথ্য রয়েছে, যা সভ্যতা এবং আমাদের দেশের মানুষের অজানা। ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর্যবেক্ষণে তা উঠে এসেছে।

আজ বুধবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই রায় ঘোষণা করেন। ৮ আসামির বিরুদ্ধে ৭৬৮ পৃষ্ঠা রায়ের সংক্ষিপ্তসার ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়।

রায়ে বলা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ নির্যাতনের সবকটি অভিযোগই প্রমাণিত।

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ আরও বলেন, দেরিতে হলেও নির্যাতিতরা ন্যায়বিচার পেয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ধর্ষণ, নির্যাতনকে স্বাধীনতাকামীদের দমনে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হতো বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এ রায় বিচারের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক।

রায়ে মুক্তিযুদ্ধকালীন তিনজনের আত্মত্যাগের বিষয়টি স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- শহীদ মিরর শেখ, শিশু আব্দুল মালেক সরকার এবং মহীয়সী নারী আশুরা খাতুন। রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে রায়ে।

তুরিন বলেন, প্রসিকিউশন থেকেই তাদের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে।

পর্যবেক্ষণের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের দেশের জন্য যে আত্মত্যাগ করেছেন তাদের স্বীকৃতি দিতে হবে।



মন্তব্য চালু নেই