জন্মদিনে শেখ কামালের প্রতি আ. লীগের শ্রদ্ধা
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ কামালের ৬৭তম জন্মদিনে বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন।
শুক্রবার সকাল ১০টায় এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। সেইসাথে কোরানখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে ধানমণ্ডিস্থ আবাহনী ক্লাব প্রাঙ্গণে শহীদ শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।
১৯৪৯ সালের এ দিনে তদানীন্তন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী শেখ কামাল রাজধানীর শাহীন স্কুল থেকে মাধ্যমিক শেষ করেন। ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধীনে পাস করেন বি.এ. অনার্স।
শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনের অন্যতম উৎসমুখ ‘ছায়ানট’-এর সেতার বাদন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন কামাল। স্বাধীনতার পরে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন কর্মসূচির পাশাপাশি পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীকে সমাজ চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণে মঞ্চ নাটক আন্দোলনের প্রথমসারির সংগঠক ছিলেন। গড়ে তোলেন ‘স্পন্দন শিল্পী গোষ্ঠী’। ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতাও তিনি।
শৈশব থেকেই ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, বাস্কেটবলসহ নানা খেলাধূলায় প্রচণ্ড উৎসাহ ছিল তার। প্রতিষ্ঠা করেন উপমহাদেশের অন্যতম সেরা ক্রীড়া সংগঠন আবাহনী ক্রীড়াচক্রের।
১৯৭৫ সালের ১৪ জুলাই দেশবরেণ্য অ্যাথলেট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুলতানা খুকুর সঙ্গে বিয়ে হয় কামালের।
ছাত্রলীগের নিবেদিত কর্মী হিসেবে ‘৬৯-র গণঅভ্যুত্থান ও ‘৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন শেখ কামাল। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ওয়ার কোর্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে মুক্তিবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানির এডিসি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য হন তিনি।
স্বাধীনতার পর সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি নিয়ে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাত্রিতে ঘৃণ্য শত্রুদের বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়ে মাত্র ২৬ বছর বয়সে প্রিয় পিতা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে শাহাদাত বরণ করেন শেখ কামাল। ওই সময় তিনি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এম. এ শেষ পর্বের পরীক্ষা দিচ্ছিলেন।
মন্তব্য চালু নেই