সান্তাহারে কালভাট ধ্বংস
বাইবাস সড়কের রাণীনগর-সান্তাহার চার দিন ধরে যান চলাচল বন্ধ
কাজী আনিছুর রহমান, রাণীনগর (নওগাঁ) সংবাদদাতা : অবশেষে ধ্বসেই পড়ল সান্তাহার-নাটোর বাইপাস সড়কের সান্তাহারের পানলা এলাকায় অবস্থিত জোড়াতালি দেওয়া সেই কালভার্ট। ফলে চার দিন ধরে ওই সড়কের রাণীনগর-সান্তাহার সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে ওই সড়কে চলাচল বিভিন্ন ধরণের যানবাহনের রোজগার বন্ধ হবার পাশাপাশি চরম দূর্ভোগে পড়েছে যাত্রীসাধারণ। বন্ধ হয়েছে নিত্যপণ্যসহ সব ধরণের পণ্য পরিবহণ।
জানা গেছে, ওই সড়কের সান্তাহার-রাণীনগর অংশের পাঁচ কিলোমিটার রয়েছে সাতটি ঝুুঁকিপূর্ণ ও সরু কালর্ভাট। বিএনপি-জামায়াতের জোট সরকারের শেষ দিকে ওই বাইপাস সড়ক নির্মান করা হয়। সড়কের দুই পাশে প্রায় ছয় ফুট সম্প্রসারণ করা হলেও ঝুঁকিপূর্ণ সরু কালর্ভাটগুলো সম্প্রসারণ ও পূন:নির্মাণ না করেই কাজ শেষ করা হয়। এ বিষয়ে ২০১৪ সালের জুন মাসে দেশের বিভিন্ জাতীয় দৈনিকে সচিত্র রির্পোট প্রকাশ করা হলেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। এ অবস্থায় গত রমজান মাসে ওই সড়কের সান্তাহারের হেলালিয়া হাটের উত্তর দিকে পাশাপাশি দুই ঝূঁকিপূর্ণ ও সরু কালভার্টের মধ্যে একটি ঢালাই পাটাতনের পূর্ব পাশ ধ্বসে পড়ে। সেটি যেভাবে সংস্কার করা হয়েছে তা আগের চেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সবশেষ মঙ্গলবার রাতে ওই সড়কের সান্তাহার-রাণীনগর সড়কে পানলা নামক স্থানের কয়েকবার জোড়াতাড়ি দেওয়া কালভার্ট ধ্বসে পড়ে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায় ওই সড়ক দেখভালকারি সড়ক ও জনপথের এক মিস্ত্রি ও ৪/৫ শ্রমিক ধ্বসে পড়ার কালভার্ট পুরো ভেঙ্গে ফেলার কাজ করছে। সেখানে সাড়ে ১১ ফুট চওয়ার বেইলিব্রীজ নির্মাণ করা হবে। মালামালও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু লোকবল কম হওয়ায় কারনে নির্মাণ কাজ বিলম্ব হবার আশংকা করছে এলাকাবাসি। কর্মরত সওজের হেডমিস্ত্রি আব্দুল কাদের জানান, ধ্বসে পড়ার অবকাঠামো সরিয়ে লোহার বেইলিব্রীজ নির্মাণ করতে কমপক্ষে ৫দিন সময় লাগতে পারে।
এদিকে ওই সড়কে সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় সিএনজি, ইজিবাইক, রিক্্রা-ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনের রোজগার প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। দূর্ভোগে পড়েছে হাজারো যাত্রীসাধারণ। এছাড়া ওই সড়ক দিয়ে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে নিত্যপণ্যসহ নানা পণ্য পরিবহণ।
সরেজমিনে দেখা যায়, সান্তাহার থেকে স্থানীয় বাহনের যাত্রীরা ধ্বসে পড়া কালর্ভাটের দুই পাশে নামছে। তার পর পাশের রেললাইনের খালের কাঁদাজলের বাঁধ পেড়িয়ে উঠছে রেললাইনে। সেখানে থেকে প্রায় আধাকিলোমিটার দুরে প্রাল্লাথপুর মোড়ে গিয়ে ফের যানবাহনে উঠছে। একইভাবে দক্ষিন দিকের যাত্রীরা আসছে কালভার্টের উত্তর পাশে। এতে দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে বয়স্ক ও নারী-শিশুদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
মন্তব্য চালু নেই