‘বাবুল আক্তারকে গৃহবন্দী করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল’
স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে গৃহবন্দী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন গোয়েন্দা পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশ না করে ওই কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার রাতে প্রথমে আইজিপির বাসায় তাকে চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার এবং পিবিআই সদরদপ্তরের একজন ডিআইজির উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন বাবুল আক্তারকে গৃহবন্দী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা না করে পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা এবং একজন ইন্সপেক্টর রাজধানীর মেরাদিয়া ভুঁইয়া পাড়ায় তার শ্বশুর বাড়িতে রেখে আসেন।
ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, “এর প্রায় ২০ মিনিট পর শীর্ষ প্রধানের সম্মতি নিয়ে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।”
শুক্রবার গভীর রাতে পুুলিশ সুপার বাবলু আক্তারকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। একজন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা এবং একজন ইন্সপেক্টর তার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে শীর্ষ এক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে হবে জানিয়ে তাকে ডেকে নিয়ে যান।
এর আগে চট্টগ্রামে আটক পুলিশের কথিত তিন সোর্সকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। ডিবি’র একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই ৩ কথিত সোর্সকে বাবুল আক্তারের মুখোমুখি করে মিতু হত্যা মামলার বিষয়ে পাওয়া তথ্য-প্রমাণগুলো যাচাই করা হচ্ছে।
এই ঘটনার পর শনিবার সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের বলেন, বাবুল আক্তারকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। মিতু হত্যার সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধরে ফেলেছে পুলিশ। হত্যাকারীদের দেওয়া তথ্য এবং বাবুল আক্তারের তথ্য মিলিয়ে দেখতে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
তিনি জানান, বাবুল আক্তারের তিনজন সোর্সকে আটক করেছে পুলিশ। ওই সোর্সদের সঙ্গে বাবুল আক্তারের কোনো সম্পৃক্তা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মিতু হত্যা মামলায় তদন্তের অগ্রগতি বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ে অবহিত করতে বুধবার থেকে ঢাকায় অবস্থান করছেন চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার।
গত ৫ জুন চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে শিশু সন্তানের সামনে কুপিয়ে ও গুলি করে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করা হয়।
পরের দিন ভোরে নগরীর বাদুরতলা বড় গ্যারেজ এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার পর পুলিশ দাবি করে বাবুল আক্তারের জঙ্গিবিরোধী ভূমিকার কারণেই তার স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সারাদেশে শুরু হয় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কথিত ক্রসফায়ারে নিহত হয় কমপক্ষে ৬ জঙ্গি।চ্যানেল আই
মন্তব্য চালু নেই