ঝিকরগাছায় এএসআই ছুরিকাঘাত : ওয়াপদা বস্তিতে তান্ডব

যশোরের ঝিকরগাছায় পুলিশের অভিযানে ডাকাতের ছুরিকাঘাতে এএসআই তৌহিদুল ইসলাম (৪৫) আহতের ঘটনায় সাদাপোশাকের মুখোশধারী একদল লোক ওয়াপদা বস্তিতে তান্ডব চালিয়েছে। সোমবার ভোরে এই তান্ডব চালানো হয়।

এর আগে রাত পৌনে ২টার দিকে ওয়াপদা বস্তি এলাকায় পুলিশের অভিযানে ডাকাতের ছুরিকাঘাতে এএসআই তৌহিদুল ইসলাম (৪৫) আহত হয়। আহত ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ১৮জনকে আটক করেছে।

ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা খবির আহমেদ জানান, সোমবার রাতে পুলিশের একটি টিম অভিযানে ছিল। রাত পৌনে ২টার দিকে ঝিকরগাছার ওয়াপদা বস্তি এলাকায় ডাকাত দলের সদস্যদের আটকে পুলিশ অভিযান চালায়। এসময় এএসআই তৌহিদুল এক ডাকাতকে ধরে ফেলে। এসময় ওই ডাকাত তৌহিদুলের পেটে ছুরি মেরে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওসি আরও জানান, পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনায় অন্তত ১৮জনকে আটক করা হয়েছে।

তবে এর আগে ছুরিকাঘাতের কারণ নিয়ে ঝিকরগাছা থানা পুলিশ লুকোচুরি করেছে। সকাল ৬ টা থেকে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট থানাসহ পুলিশের একাধিক কর্মকর্তারা সাথে যোগাযোগ করেও স্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে ওয়াপদা বস্তির বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, পুলিশ কর্মকর্তা ছুিরকাহতের ঘটনার পরপরই সাদাপোশাকে মুখোশধারী একদল লোক সেখানে গিয়ে চাইনিজ কুড়াল, রাম দা দিয়ে অন্তত ২০টি টিনের ঘর কুপিয়ে তছনছ করে ২৫/৩০ বছর ধরে এ বস্তিতে বসবাসরত বৃদ্ধা ছায়রা খাতুন ও সমত্বভান কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘আমাদের কি অপরাধ বাবা, পুলিশকে মারলো ডাকাত আর ওরা ঘুমন্ত অবস্থায় আমাগো ঘরগুলা কুপাইয়ে, ভাংচুর করে সব লুটে নিয়ে গেল!’ স্বামী পরিত্যাক্তা তাসলিমা খাতুন, মুজিবর রহমান জানান, পুলিশ এ বস্তির বাসিন্দাদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলে গেছে।

তবে ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা খবির আহমেদ জানান, সরকারি জমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ওই বস্তিকে ঘিরে দুর্ধর্ষ একটি অপরাধী চক্র দীর্ঘদিন ধরে তৎপর। এদের সন্ত্রাসী তৎপরতায় আশেপাশের জনপদও অতিষ্ঠ। সোমবার রাতের ঘটনার পর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসি সেখানে সামান্য ভাংচুর চালিয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই