‘মাস্টার বাহিনী’র আত্মসমর্পণের আনুষ্ঠানিকতা হঠাৎ স্থগিত
দস্যুদল ‘মাস্টার বাহিনী’র আত্মসমর্পণের আনুষ্ঠানিকতা স্থগিত করা হয়েছে।
রবিবার (২৯ মে) ভোর ৬টার দিকে সুন্দরবনের ভেতরে হাড়বাড়িয়ার চরাপুটিয়া এলাকায় র্যাবের কাছে এ দস্যু বাহিনীর ৭ সদস্য আত্মসমর্পণের উদ্যেশে অস্ত্রশস্ত্র জমা দেয়। এ বাহিনীর অন্য সদস্যরাও আত্মসমর্পণের উদ্দেশ্যে অস্ত্র জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
রবিবার দুপুরে বাগেরহাট জেলার মংলায় অনুষ্ঠানিকভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অস্ত্র জমা দেওয়ার কথা ছিল তাদের।
কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাগেরহাট সফর বাতিল করা হলে অস্ত্র আত্মসমর্পণের বিষয়টিও স্থগিত করা হয়। র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট ফরিদুল আলমআত্মসমর্পণ স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে আসতে পারছেন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। দস্যুরাও তার কাছে ছাড়া আত্মসমর্পণ করতে রাজি হচ্ছেন না। এ জন্য আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে খুলনা র্যাব-৬ জানায়, রোববার মংলায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করবেন মাস্টার বাহিনীর দস্যুরা।
সূত্র বলছে, আত্মসমর্পণে যাওয়া দস্যুরা সকাল ১১টা পর্যন্ত দেশি-বিদেশি ৫১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও পাঁচ হাজার গুলি জমা দিয়েছেন।
র্যাবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের পশ্চিম উপকূল এবং সুন্দরবনের জেলে, বাওয়ালী, মৌয়ালদের ত্রাস হচ্ছে দস্যু মাস্টার বাহিনী। নৌকা ও জালের হিসাব করে নির্ধারিত হারে দস্যুদের চাঁদা দিতে হতো জেলে ও বনজীবীদের। এতদিন অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়সহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিল এ বাহিনীর সদস্যরা। দস্যুদের বাড়ি বাগেরহাটের রামপাল, মংলা, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
আত্মসমর্পণের পর দস্যুদের আইনের কাছে সোপর্দ করতে স্থানীয় পুলিশও বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছিল।
মন্তব্য চালু নেই