শ্যালা নদীতে জাহাজ ডুবি: চার দিনেও শুরু হয়নি উদ্ধার কাজ
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে তলাফেটে ১ হাজার ২৩৫ টন কয়লা নিয়ে ডুবে যাওয়া সি হর্স-ওয়ান নামের লাইটারেজ জাহাজ ডুবির ঘটনার ৪ দিন পার হলেও জাহাজটি উদ্ধার কাজ শুরু করতে পারেনি বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
কবে নাগাদ তারা উদ্ধার কাজ শুরু করতে পারবে তাও নিশ্চিত করে বলতে পারছেনা। তবে বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ সুন্দরবনের শ্যালা নদী দিয়ে নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে।
এদিকে সুন্দরবন বিভাগের গঠিত ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন দাখিল করেছে। বুধবার তদন্ত কমিটির প্রধান সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. কামাল উদ্দিন আহম্মেদ এই প্রতিবেদন সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) সাইদুল ইসলামের কাছে দাখিল করেন। প্রতিবেদনে ৩টি সুপারিশ করা হয়েছে।
এই লাইটারেজ জাহাজ ডুবির ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের অপর দুটি কমিটি ঘটনা তদন্তে কাজ করছে। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে লাইটারেজ জাহাজটির মেয়াদ উত্তীর্ণসহ ফিটনেস না থাকা, নদীর যথাযথ গতিপথ না জেনে ডুবন্ত নৌযানের উপর দিয়ে চলাচর করা ও চালকের অদক্ষতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
সুন্দরবন বিভাগের তদন্ত প্রতিবেদনে, সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে স্থায়ীভাবে ছোট-বড় লাইটারেজ জাহাজসহ সবধরনের যান্ত্রিক নৌযান চলাচল বন্ধ, ডুবে যাওয়া কয়লাবাহী লাইটারেজ জাহাজটি দ্রুত উদ্ধার ও দুর্ঘটনা এড়াতে একই স্থানে ডুবে থাকা অপর দুটি নৌযানের ডুবন্ত এলাকাকে চিহ্নিত করতে বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশে করা হয়েছে।
অন্যদিকে, বনবিভাগ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, পরিবেশ অধিদফতর, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে গঠিত ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটিরও কাজ চলছে। আগামী ২/১ দিনের মধ্যে এ কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিবে।
গত শনিবার বিকেলে সুন্দরবনের শ্যালা নদীর হরিণটানা এলাকায় তলাফেটে ১ হাজার ২৩৫ টন কয়লা নিয়ে ডুবে যাওয়া সি হর্স-১ নামের লাইটারেজ জাহাজ ডুবে যায়। ২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর সুন্দরবনের এই নদীতে ওটি সাউদার্ন স্টার-৭ নামে একটি ওয়েল ট্যাঙ্কার ডুবে যায়। ওই সময় সুন্দরবনের এই নৌপথটি দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংষ্কৃতিক ও পরিবেশবাদী সংগঠন দাবি জানায়।
মন্তব্য চালু নেই