আটকে গেল মির্জা আব্বাসের কারামুক্তি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি আগামী ১৪ মার্চ। সাংবাদিকদের প্লট বরাদ্দের অভিযোগে শাহবাগ থানায় দায়ের করা এক মামলায় বুধবার জামিন পান তিনি।
এ নিয়ে তিন মামলার সবকটিতে জামিন পাওয়ায় কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছিলেন মির্জা আব্বাসের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন। রাষ্ট্রপক্ষের এ আবেদনের ফলে এখন আগামী ১৪ মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
এর একদিন পর বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) রাষ্ট্রপক্ষ তার জামিন স্থগিতের আবেদন করেন। চেম্বার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি করে ১৪ মার্চ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করে দেন।
আদালতে আব্বাসের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মমতাজ উদ্দিন ফকির।
এর আগে বিচারিক আদালতে জামিন না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন, সে আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার তাকে জামিন দেন।
বর্তমানে বিএনপির এ নেতা বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন বলেছেন, মির্জা আব্বাস মন্ত্রী থাকা অবস্থায় প্লট বরাদ্দের বিষয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে ২০১৪ সালে শাহবাগ থানায় মামলা করে দুদক।
ওই মামলায় জামিন চাইতে গিয়ে গত ৬ জানুয়ারি বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আব্বাস। শুনানি করে বিচারক তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বিচারিক আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে গত ৭ ফেব্রুয়ারি জামিন আবেদন করেন।
মন্তব্য চালু নেই