ম্যাডাম! কেন্দ্রীয় অফিসে প্রার্থীদের হয়রানির খবর কি পাচ্ছেন?
মেজর অব. মো. আখতারুজ্জামান: আসন্ন ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ার জন্য দল তথা ম্যাডাম সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা অনেক আগেই দিয়ে দিয়েছেন। ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং আহ্বায়ক কমিটি হলে সমমর্যাদার নেতাসহ গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জয়ী বা হারু প্রার্থী, এই ছয়জন মিলে ইউপি চেয়ারম্যানের দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করে দলের মহাসচিবের কাছে পাঠালে তিনি সেই মনোনয়নের লিখিত অনুমোদন দেবেন। সেই মোতাবেক প্রার্থীরা মহাসচিবের অনুমোদন নেয়ার জন্য গত তিনদিন ধরে পার্টি অফিসে ধর্ণা দিচ্ছেন।
মহাসচিবের অনুমোদন পেতে তিনদিন লাগার কোনো সদুত্তর কেউই দিতে পারছে না!
গণতান্ত্রিক চিন্তা চেতনায় যিনি এই ছয়জন ক্ষমতাপ্রাপ্ত ভোটার নেতাদের মধ্যে চার বা তার অধিক নেতার ভোট পাবেন তিনিই দলের প্রার্থীর যোগ্যতা অর্জন করবেন। এর বাইরে কোনো হিসাব থাকার বিধান গণতান্ত্রিক চিন্তা চেতনায় থাকতে পারে না। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে দলের জেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অনেক নেতা পাতি নেতা পার্টি অফিসে এসে মনোনয়নে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ করার জন্য আবদার করছেন।
ম্যাডাম যে নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন সেখানে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নাই জেনেও কোন্দলবাজ কতিপয় মুখচেনারা ইউপি নির্বাচনের প্রার্থীদেরকে হয়রানি করে একটি বাণিজ্যিক পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। তার উপরে বাড়ি বাড়ি ফল ফালালি, মিষ্টি ইত্যাদিতো যাচ্ছেই!
বেচারা ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এই সব মুখচেনা নেতাদের সঙ্গে পেরে উঠছেন না। তাই এই ব্যাপারে বিএনপির সচেতন মহল অনতিবিলম্বে ম্যাডামের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
লেখক: সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির তৃণমূল কর্মী।
মন্তব্য চালু নেই