দেশি কিন্তু পাকিস্তানি, ছাগল কিন্তু ভেড়া!
দেশি মুরগী ছাড়া রোচে না, গরুর মাংস সয় না। তাহলে কী করবেন? বেশি দাম হলেও বাজারে গিয়ে দেশি মুরগীটাই কিনবেন, গরুর মাংস না কিনে দ্বিগুণ দামে কিনবেন খাসির মাংস।
কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি- দেশি মুরগী বা খাসির মাংসের গ্যারান্টি আপনাকে দিলেও তা কতোটা নির্ভরযোগ্য? শনিবারও রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারে অভিযান চালিয়ে ভেজাল মাংস বিক্রির অভিযোগে সাত মাংস ব্যবসায়ীকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাহলে বুঝুন অবস্থাটা!
শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উত্তরার আজমপুর, মহাখালী ও গুলশান-১ এর কাঁচাবাজারে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজ আহমেদ।
অভিযান চলাকালে আজমপুর কাঁচাবাজারের মুরগী ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিনকে দেশি মুরগীর নাম করে পাকিস্তানি কক বিক্রির দায়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অপরদিকে মহাখালী বাজারে ছাগলের মাংসের নাম করে ভেড়ার মাংস বিক্রির দায়ে দুই কসাই এবং দেশি মুরগীর নাম করে পাকিস্তানি কক বিক্রির দায়ে আব্দুল করিমকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
একই অভিযানে গুলশান-১ এর কাঁচাবাজারে মহিষের মাংস গরুর মাংস বলে বিক্রির দায়ে মিলন মিয়া, জাহাঙ্গীর ও মানিককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
ম্যাজিস্ট্রেট জানান, এরা সবাই দীর্ঘদিন ধরে এ ভেজাল মাংস বিক্রির ব্যবসা করে আসছিল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন র্যাব-১ এর কর্মকর্তা আব্দুর রহিম।
মন্তব্য চালু নেই