রাণীনগরে বন্যায় রোপা-আমন মৌসুমে কৃষকদের ৬৪ কোটি টাকার ক্ষতি
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় ৮টি ইউনিয়নে বন্যার পানিতে তলিয়ে প্রায় সাড়ে সাত হাজার হেক্টর জমির রোপনকৃত রোপা-আমন ধান তলিয়ে যাওয়ায় রাণীনগরের কৃষকের প্রায় ৬৪ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। বিপুল পরিমান এই ক্ষতিতে কৃষকরা এখন হতাশায় ভূগছে। বন্যার পানি ধীরে ধীরে নেমে যাওয়ায় রবি শস্যের প্রস্তুতি নিতে আর্থিক সংকটের কারণে তারা মাঠ পর্যায়ে জমিতে চাষ দেওয়ার জন্য কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পরবে কিনা এ নিয়েও কৃষকদের মাঝে অজানা আতংক চোখে মুখে ভেসে উঠছে।
কৃষকদের এত বেশি ক্ষতি হওয়া সত্বেও দেড় মাস অতিবাহিত হলেও সরকারি পর্যায়ের কোন সহযোগীতার আশার বাণী কৃষি বিভাগ না শুনালেও আগাম রবি শস্য আলু, গম, সরিষা, ভূট্টা, চাষের জন্য হতাশাগ্রস্ত কৃষকেরা এক বুক আশা নিয়ে উঁচু জমিতে চাষ দেওয়া শুরু করেছে। বীজ, চারা প্রাপ্তি স্বাপেক্ষে এই ধরণের জমিতে অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই কৃষকরা বোপন ও রোপন করার চিন্তা ভাবনা করছে।
অনেক চাষীরা বলছে ভয়াবহ বন্যায় জমি তলিয়ে যাওয়ায় ধানের ক্ষতি হলেও পলি পড়ার কারণে উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় রবি শস্যের বাম্পার ফলনের আশা করছেন গ্রামীন জণপদের কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁর ছোট যমুনা ও আত্রাই নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় গত ২৪ আগষ্ট ভোরে রাণীনগর-আত্রাই সড়কের পূর্ব মিরাপুর নামক স্থানে সড়ক ভেঙ্গে রাণীনগর উপজেলায় প্রবল বেগে বন্যার পানি প্রবেশ করলে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টি ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে যায়।
এ সময় ৭ হাজার ৩০৯ হেক্টর জমির রোপা-আমন ধান সম্পন্ন নষ্ট হয়ে যায়। যার টাকার পরিমাণ প্রায় ৬৪ কোটি টাকা। বন্যা পরবর্তী সময়ে ক্ষতি পুশিয়ে তোলার জন্য কৃষি বিভাগ রবি শস্য চাষের জন্য নানান ভাবে পরামর্শ দিচ্ছেন।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসারসে এম গোলাম সারওয়ার বলেন, সম্প্রতি সময়ের বন্যায় জেলার অন্যান্য উপজেলার চেয়ে রাণীনগর উপজেলায় সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে। কৃষকদের সহযোগীতা করার মতো সরকারি পর্যায়ে আমার কাছে কোনো সিদ্ধান্ত পৌঁছে নাই।
কিন্তু তার পরেও মাঠ পর্যায়ে আমার উপ-সহকারি কৃষি অফিসারগণের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছি এবং আমি নিজেই মাঠপর্যায় গিয়ে বন্যার ক্ষতি পুশিয়ে তোলার জন্য আগাম রবিশস্য চাষের কৃষকদের উদ্বদ্ধকরণের পরামর্শ দিচ্ছি।
মন্তব্য চালু নেই