৮৪ হজ এজেন্সিকে জরিমানা

গত বছরের হজ ব্যবস্থাপনায় নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগে ৮৪টি হজ এজেন্সিকে তিন কোটি ৫১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে সরকার।

বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত দুটি আদেশ জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

ভিসা পাওয়া হজযাত্রীদের নিবন্ধনের তথ্য হজ তথ্য-ভাণ্ডারে না পাওয়ায় ৫৭টি এজেন্সিকে এক কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং সৌদি আরব ও বাংলাদেশে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে আরও ২৭টি এজেন্সিকে দুই কোটি ছয় লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এসব অভিযোগে অভিযুক্ত ২১টি হজ এজেন্সিকে সতর্ক করে বাকি ৮১টি এজেন্সিকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের হজ মৌসুমে ৭৫১ জন ভিসাপ্রাপ্ত হাজির তথ্য হজ তথ্য ভাণ্ডারে না পাওয়ার বিষয়ে ১১৩টি হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন হয়। তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি এই অভিযোগ তদন্ত করে।

অভিযুক্ত এজেন্সির লিখিত বক্তব্য নিয়ে কমিটি হজ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম যাচাই-বাছাই করে প্রতিবেদন দেয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৫৭টি হজ এজেন্সিকে আর্থিক জরিমানা করা হয়।

এতে আরো বলা হয়, চট্টগ্রামের গলফ ট্রাভেলসকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার পাশাপাশি ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকার কে জি প্রগতি এয়ার সার্ভিসকে তিন লাখ টাকা জরিমানা ও ২০১৭ সালের জন্য লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে।

অন্যদিকে ২০১৬ সালের হজ মৌসুমে সৌদি আরব এবং বাংলাদেশে ৭৩টি হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উঠলে পাঁচ সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি করে সরকার। ওই কমিটিও অভিযুক্ত হজ এজেন্সিগুলোর বক্তব্য নিয়ে তা যাচাই-বাছাই করে প্রতিবেদন জমা দেয়।

এই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২৭টি হজ এজেন্সিকে জরিমানা এবং ৯টিকে সতর্ক করা হয়।

মাওনা ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস-এর জামানত বাজেয়াপ্ত, লাইসেন্স বাতিলের পাশাপাশি এক কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

জরিমানার অর্থ আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে চালানের মূল কপিসহ ধর্ম মন্ত্রণালয়কে জানাতে সাজাপ্রাপ্ত হজ এজেন্সিগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ধর্ম সচিব মো. আবদুল জলিল বৃহস্পতিবার বলেন, যারা হজে অনিয়ম বা মানুষকে হয়রানি করে, হজ নীতিতে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি প্রয়োগের কথা বলা আছে। আমাদের দেশের হজযাত্রী ও সৎ ব্যবসায়ীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন এজন্য এ শাস্তির ব্যবস্থা।

শাস্তি বহাল থাকলে হজে এজেন্সিগুলোর অপরাধের প্রবণতা ধীরে ধীরে কমে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।



মন্তব্য চালু নেই