৫৮ বছর পর নিজ ভিটায় বোম্বের রীতা
ভারতের বোম্বের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা রীতা দত্ত।
দেশ ভাগের পূর্বে তার বাপ-দাদার বসবাস ছিল সিলেটের ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার ইউপির গ্রামতলা (দাশপাড়া) গ্রামে।
৫৮ বছর বয়সী রীতা ছোটবেলা থেকেই বাপ-দাদার বসত বাড়ির গল্পই শুনেছেন কিন্তু কখনও স্বচক্ষে তা আর দেখা হয়নি।
বড় হয়ে দেখার প্রবল ইচ্ছা থাকলেও ঠিকানার অভাবে তা পারেননি।
শেষ পর্যন্ত আত্মীয়-স্বজনের সহযোগিতায় ঠিকানা খুঁজে পাওয়ার পর বাপ-দাদার ভিটা সিলেটের ওসমানীনগরের গ্রামতলা (দাশপাড়া) গ্রামে ছুটে আসেন রীতা ও তার স্বামী ড. প্রবীর দত্ত।
বাপ-দাদার ভিটায় ফিরে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন রীতা। গ্রামের সবুজের সমারোহ ও মানুষের আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়ে তিনি পিতৃভূমির এমন পরিবেশের বাড়িঘর ছেড়ে যাওয়ার জন্য আফসোস করেন।
নিজ ভিটায় ফিরে রীতা জানান, জীবনের শৈশব, কৈশোর আর যৌবন পার করে বর্তমান সময় পর্যন্ত ভারতেই বসবাস। জীবনের এই প্রথমবার তার বাংলাদেশে আসা। তাও আবার পৈত্রিক নিবাস সিলেটের ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারের গ্রামতলা (দাশপাড়া) গ্রামে।
জন্ম সূত্রে সিলেটি বাঙালী সন্তান হওয়ায় স্পষ্ট সিলেটি ভাষায় কথা বলেন তিনি।
রীতার কথায় বাংলাদেশ এবং বাপ-দাদার গ্রামের প্রতি প্রচণ্ড মমত্ববোধের পরিচয় পাওয়া যায়।
গ্রামতলা (দাশপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা যুগান্তরের ওসমানীনগর প্রতিনিধি রীতা দত্তের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তার বাড়িতে দু’এক দিন থেকে বাপ-দাদার স্মৃতি চিহ্ন দেখে যেতে অনুরোধ করলে এই আতিথেয়তায় তিনি আপ্লুত হয়ে পড়েন।
জবাবে রীতা দত্ত বলেন ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আসলে সোজা গ্রামতলায় এসে উঠবেন।
তিনি জানান, তার ঠাকুর দা সুখদা মোহন দাশ গুপ্ত ও বাবা দেবব্রত দাশ গুপ্ত টুনু দাশপাড়ার এই বাড়িতে বসবাস করতেন। ৪৭ এ দেশ ভাগের পূর্বে তারা ভারতের শিলং চলে যান।
সেখানেই তাদের দু’বোনের জন্ম। ঠাকুর দা ও বাবার কাছ থেকে বাড়ির ঐহিত্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের গল্প শুনেছেন তিনি।
বাড়ি ও গ্রামটি অন্তত একবার দেখতে ঠিকানা সংগ্রহের চেষ্টা করেন। প্রায় এক বছর পূর্বে তার মেয়েও বাংলাদেশে এসে বাড়ির ঠিকানা খুঁজে বের করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত তারা সফল হয়েছেন।
মন্তব্য চালু নেই