শহীদুল্লাহর পরিবারে চলছে শোকের মাতম : এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ

৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও সাভারের নিখোঁজ ব্যবসায়ীর খোঁজ পায়নি পুলিশ

টিপু সুলতান (রবিন), সাভার প্রতিনিধি : প্রায় আটচল্লিশ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও সাভারের কাউন্দিয়া ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিখোঁজ ব্যবসায়ী শাহ আলমের খোঁজ পায়নি পুলিশ। এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা এড়াতে কাউন্দিয়া ইউনিয়নে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করেছে জেলা পুলিশ। গত শুক্রবার আওয়মীলীগের প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটানায় শহীদুল্লাহ নামে একজন নিহত হয় নিখোঁজ হয় শাহ আলম নামে এক ব্যবসায়ী।

নির্বাচন পূর্ববর্তি সহিংসতার চিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছে সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের সিংগাসার আলী আহাম্মদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। জানালা আর ভবনের দেয়ালে গুলির চিহ্ন বলে দিচ্ছে সেদিনের সংঘর্ষের ভযাবহতার কথা।

শুক্রবার রাতে সিংগাসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে রাত সাড়ে নয়টার দিকে নির্বাচন উপলক্ষ্যে মিলাদের আয়োজন করেন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রাথী আতিকুর রহমান খান শান্ত।একই সময় সেখান দিয়ে আওয়ামীলীগ প্রার্থী সাইফুল আলম খানের মিছিল অতিক্রমের সময় সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটে দুই গ্রুপের মধ্যে।এসময় প্রতিপক্ষের ছুড়িকাঘাতে নিহত হন বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক শহীদুল্লাহ।আহত হয় অন্তত পচিশ জন। নিখোজ হন শাহআলম নামে এক ব্যবসায়ী।

নিহত শহিদুল নিহত বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক শহীদুল্লাহ

নির্বাচনে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থনের মাশুল জীবন দিয়ে দিতে হবে এমনটি কখনও ভাবেনি নিহতের স্বজনরা।

এদিকে নির্বাচনী সহিংসতায় ঘটনার দিন নিখোঁজ হওয়া ব্যবসায়ী শাহআলমের পরিবার প্রায় আটচল্লিশ পেরিয়ে গেলেও পায় নি তার খোঁজ। অভিযুক্ত সাইফুল আলমের ভাতিজা নাহিদ তার সন্ত্রাসীদের নিয়ে তাকে তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ স্বজনদের।

সংঘর্ষের দিন হামলার শিকাররা বাঁচতে পাশের নদীতে ঝাপিয়ে পরলে এসময় সাইফুল আলমের ভাতিজা পানিতেও গুলি বর্ষণ করে বলে জানায় নিহত শহীদুল্লাহর ভাই নাজিমুদ্দিন।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নির্বাচন পর্যন্ত কাউন্দিয়া ইউনিয়নে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে বলে আওয়ার নিউজকে জানিয়েছেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান।নিখোঁজ ব্যবসায়ী শাহআলমকে উদ্ধারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও এসময় জানান তিনি।



মন্তব্য চালু নেই