৩ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪, আহত ৯০

মুন্সীগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৯০ জন। শুক্রবার সকালে এবং বৃহস্পতিবার রাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

মুন্সীগঞ্জ

জেলার লৌহজং উপজেলার ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে বাসের ধাক্কায় সিএনজি অটোরিকশার চালকসহ দু’জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিন যাত্রী। উপজেলার মেদেনিমন্ডল এলাকায় শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ঢাকাগামী আনন্দ পরিবহনের একটি বাস বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজি অটোরিকশটিকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই এর চালকের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় আহত চার যাত্রীকে শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার সময় এক যাত্রী মারা যান। তবে প্রাথমিকভাবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর প্রায় ৫০ মিনিট ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ের সার্জেন্ট মো. ইয়ুনুস বলেন, ‘আনন্দ পরিবহনের একটি বাস ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি সিএনজি অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই সিএনজির চালক নিহত হন। পরে আরও এক যাত্রী মারা যান। বাকি তিন যাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

বর্তমানে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে বলেও জানান তিনি।

চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের জোড়ারগঞ্জ থানার মাঈনউদ্দিন ফিলিং স্টেশনের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে দু’জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ছয়জন। বৃহস্পতিবার রাতে পৌনে ১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন— ভোলা জেলার লালমোহনের বদুয়াপাড়ার মৃত দাইম উদ্দিনের ছেলে জামাল মিস্ত্রি (৩৫) ও চর নুরুল আমীনের আলী আহম্মদের ছেলে মো. হাসান (২৫)।

জোড়ারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক ফরিদুল আলম জানান, রাত পৌনে ১টার দিকে উত্তর সোনাপাহাড় এলাকায় মাঈনউদ্দিন ফিলিং স্টেশনের সামনে ঢাকাগামী বাস (চট্ট-মেট্রো-গ-০৫০১৮২) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই দু’জন নিহত হন।

ওই ঘটনায় আহত ছয়জন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে যান।

রংপুর

রংপুরের মিঠাপুকুরে নিরালা পরিবহন নামে একটি নৈশকোচ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গিয়ে অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হন। আহতদের মধ্যে ২২ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া কাউনিয়া উপজেলার বেলপাড়া এলাকায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে অন্তত ৩০ যাত্রী আহত হন।

মিঠাপুকুরের বৈরীগঞ্জে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিক আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।

মিঠাপুকুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়নাল জানান, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ২টার দিকে ঢাকা থেকে যাত্রীবাহী নৈশকোচ নিরালা পরিবহন (ঢাকামেট্রো-ব-১১-০৫২) নীলফামারী জেলার জলঢাকায় যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকা অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হন। খবর পেয়ে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে বলে রংপুরের ধাপ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ টিএসআই মোহাম্মদ কিবরিয়া জানান। তিনি হাসপাতালের চিকিৎসকদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৮-৯ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এদিকে, রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বেলপাড়া এলাকায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে অন্তত ৩০ যাত্রী আহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের স্থানীয় হাসপাতাল ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, দুপুর ১২টার দিকে রংপুর থেকে একটি বাস উপজেলার বেইলি ব্রিজের কাছে বেলতলা এলাকায় উল্টে পুকুরে পড়ে যায়। বাসটি কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর যাচ্ছিল।

ওই ঘটনায় বাসের অন্তত ৩০ যাত্রী আহত হন। প্রাথমিকভাবে তাদের কারও পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ওসি রেজাউল ইসলাম আরও বলেন, আহতদের স্থানীয় হাসপাতাল ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া বাসটি পুকুর থেকে তোলার জন্য পুলিশের রেকার ও স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই