৩হাজার টাকা পেয়ে ওঁরা খুশি না, খুশি সামান্য ভাল ব্যবহার পেয়ে

লিবিয়া প্রবাসি কুমিল্লার দাউদকান্দির ইলিয়াস এবং কাতার প্রবাসী ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার চন্দ্রদাশ আজ ২১ মার্চ এয়ারএয়াবিয়ার একটি ফ্লাইটে সকাল ৯টার দিকে ঢাকায় অবতরণ করেণ। একঘন্টা বেল্টে অপেক্ষা করে তাদের লাগেজ পাননি। বেল্টে আর কোন লাগেজও নেই। এয়ারলাইন্সের কোন কর্মকর্তা কর্মচারীরও দেখা নেই। কী করবেন বুঝতে না পেরে ভেঙ্গে পড়েছিলেন।

অতঃপর… দ্রুততম সময়ে পিআইআর ইস্যু হল এবং নেক্স এভেইলএবল ফ্লাইটে ব্যাগ এনে দেয়ার নিশ্চয়তা পাওয়া গেল। পাশিপাশি ইন্টেরিম রিলিফ হিসেবে প্রত্যেককে তিনহাজার টাকা করে দেয়া হল।
বিষয়টি অনভিপ্রেত। প্রবাসিরা টাকা দিয়ে নয়, ঘাম দিয়ে এয়ারলাইন্স থেকে সার্ভিস কেনেন। এয়ারলাইন্স সেই প্রতিশ্রুত সেবা দিতে বাধ্য। অন্যথায় দেশের প্রচলিত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন প্রয়োগ করতে আমরাও বাধ্য।

নির্ধারিত ফ্লাইটে ব্যাগেজের স্থান সংকুলান না হলে ব্যাগেজ পরবর্তী সুবিধাজনক এভেইলেবল ফ্লাইটে আসার নিয়ম। এক্ষেত্রে প্যাসেঞ্জারকে অপেক্ষা না করিয়ে দ্রুততম সময়ে পিআইআর ইস্যু করে জানিয়ে দিতে হবে এবং পরবর্তীতে ব্যাগ আসলে প্যাসেঞ্জারকে মোবাইলে খবর দিয়ে ব্যাগ বুঝিয়ে দিতে হবে। পাশাপাশি প্যাসেঞ্জারের বাসস্থান এরাইভাল সিটি তথা ঢাকার বাহিরে হলে তাকে ব্যাগ না আসার হ্যাসেলসহ প্রাথমিক প্রয়োজন মেটানো এবং পরবর্তী আসাযাওয়া ইত্যাদি খরচ মিলিয়ে একটা অন্তর্ববর্তী কালীন ক্ষতিপূরণ (ইন্টেরিম রিলিফ) দেয়ার আন্তর্জাতিক আইন রয়েছে। ২১ দিনের মধ্যে ব্যাগ না আসলে নিয়মানুযায়ী পূর্ণ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

আমরা আশা করবো, সংশ্লিষ্টরা ব্যবসায়িক স্বার্থে সেবার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসবেন এবং অধিকতর যত্নবান হবেন। ইফ ইউ ক্যান্ট স্মাইল, ইউ নীড নট টু বি এ সোপকীপার!

Magistrates, All Airports of Bangladesh থেকে নেওয়া



মন্তব্য চালু নেই