২ শিক্ষার্থীকে স্কুলে যাওয়া নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা

বাড্ডার স্যার জন উইলসন স্কুলের দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে স্কুল কর্তৃপক্ষের দেয়া আদেশ স্থগিত করে ওই দুই শিক্ষার্থীকে নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নিতে দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশ দেন।

এর আগে স্কুল কর্তৃপক্ষের বহিষ্কারাদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন ওই দুই শিক্ষার্থীর বাবা মিনহাজ আহমেদ।

মিনহাজ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ২৪ মার্চ তিনি হাইকোর্টে এই আবেদনটি করেন। গতকাল সোমবার এটি কার্যতালিকার ৮২ নম্বরে ছিল। তবে গতকাল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি।’

এর আগে গত ১০ মার্চ মিনহাজ আহমেদ তার ছেলেকে স্কুল থেকে আনতে গেলে ওই স্কুলের অভ্যর্থনা কক্ষে থাকা কর্মী জানতে চান, ‘স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা কেমন হয়েছে?’

ওই কর্মীর কথার জবাবে তিনি বলেন, ‘ভালোই। কিন্তু স্কুলের মাঠটি এতই ছোট যে সেখানে ঠিকভাবে খেলাধুলা করা যায় না।’ এ সময় অভ্যর্থনাকক্ষের কর্মী মাঠ না থাকার বিষয়টি প্রকল্প পরিচালককে জানাতে বলেন। কর্মীর সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে এক ব্যক্তি এগিয়ে এসে নিজেকে প্রকল্প পরিচালক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে চান। এরপর মাঠ নিয়ে তার সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয়।

মিনহাজ আহমেদ বলেন, ‘আমি তাদের বলি, স্কুলটি যেহেতু নিজের জায়গায় জমি কিনে ভবন করেছে, সেখানে মাঠটা একটু বড় করলেই হতো। এতে ওই ব্যক্তি ক্ষুব্ধ হয়ে তর্ক শুরু করেন। আমি তখন আর এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হইনি। ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে ফেরার পর ওই দিন বিকেলেই স্কুল কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়ে জানায়, আমার দুই সন্তান আর এই স্কুলে পড়তে পারবে না।’

পরে মিনহাজ আহমেদ স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। তবে তারপরও তার সন্তানদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। পরে রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট শিক্ষার্থী দুজনকে নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষা দিতে নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, জন উইলসন স্কুলটি আগে গুলশানে ছিল। মাস তিনেক আগে এটি বাড্ডার সাতারকুলে কেনা জমিতে স্থায়ী ভবনে যায়। মিনহাজ আহমেদের এক মেয়ে ও এক ছেলে ওই স্কুলেরই শিক্ষার্থী ছিল।



মন্তব্য চালু নেই