২১ প্রকাশনীকে শোকজ, পরে কালো তালিকাভুক্ত!
নিয়ম-নীতি ভেঙে যেসব প্রকাশনী ইচ্ছেমতো বইমেলায় বরাদ্দকৃত স্থান পাল্টে স্টল নির্মাণ করেছে সেসব প্রকাশনীর কাছে কৈফিয়ত চেয়ে কারণ দর্শানো নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে আয়োজক কমিটি বাংলা একাডেমি। আগামী বইমেলায় সেসব প্রকাশনীকে ব্ল্যাক লিস্টেড করা হবে।
সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমির ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।
তিনি বলেন, ‘নিয়মনীতি না মেনে নিজেদের ইচ্ছেমতো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্টল বানিয়েছে ২১টি প্রকাশনা সংস্থা। তাদেরকে কৈফিয়ত চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। তারা আমাদের সঙ্গে কোনো আলাপ-আলোচনা না করেই রাতের আঁধারে স্টল নির্মাণ করেছে। মেলা কমিটির সঙ্গে বসে তাদের ব্যাপারে করণীয় নির্ধারণ করা হবে।’
আগামী বইমেলায় ওইসব প্রকাশনা সংস্থাকে ব্ল্যাক লিস্টেড বা কালো তালিকাভুক্ত করা হবে বলেও জানান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক। মেলার আয়োজন ও সপ্তাহ শেষে মেলার সার্বিক পরিস্থিতি জানান দিতেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলা একাডেমি।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, নিয়ম ভাঙা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে অন্বেষা প্রকাশনী, শোভা প্রকাশনী, অ্যাডর্ন পাবলিকেশনস, শব্দশিল্প, সালাউদ্দিন বইঘর, পার্ল পাবলিকেশনস, তাম্রলিপি প্রকাশনী, সুবর্ণ প্রকাশনী, গল্পপদ্য, বিজ্ঞান একাডেমি ইত্যাদি।
তবে বাংলা একাডেমির কারণ দর্শানো নোটিশের কথা স্বীকার করছেন না অনেক প্রকাশকই। এ ব্যাপারে অন্বেষা প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমাদের বইমেলা করার ইতিহাসে এ ধরনের কোনো ঘটনা নেই। এখানে অন্বেষা নামটি যুক্ত করে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি যারা এ কাজের সঙ্গে যুক্ত তাদেরকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে।’
তবে শোকজ চিঠি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন এক প্রকাশক। নাম প্রকাশ না করে তিনি চিঠি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন।
মন্তব্য চালু নেই