নাইস নূরের সাহিত্যপ্রীতির মধ্যে আমি কোন ফাঁক দেখি না : আসাদ চৌধুরী

একুশে বইমেলায় লেখক ও নাট্যকার নাইস নূরের নতুন বই প্রকাশ পেয়েছে। বইটির নাম ‘জেবার প্রিয় বারবি ডল’। শিশুতোষ এই গল্প গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে সাহস পাবলিকেশন্স। বইটির প্রকাশক সাহস রতন। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন নিয়াজ চৌধুরী তুলি। বইটির মূল্য রাখা হয়েছে ১৫০ টাকা। বইটিতে মোট সাতটি গল্প রয়েছে।

গল্পগুলো হলো ‘আমি বাংলাভাষা হবো’, ‘অ’র প্রিয় বন্ধু ঐ’, ‘আমিও মুক্তিযোদ্ধা’, ‘নীল ফুল পরীর গল্প’, ‘জেবার প্রিয় বারবি ডল’, ‘অনিরুদ্ধ ও টমের একদিনের অভিমান’ ও ‘ফারহানের পতাকা সেলফি’। বইটির ভূমিকা লিখেছেন কবি আসাদ চৌধুরী।

বইটি প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘নাইস নূরের সাহিত্যপ্রীতির মধ্যে আমি কোন ফাঁক দেখি না। তিনি ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। গণমাধ্যমে যোগ্যতার সঙ্গে কাজ করছেন। শিশুদের সাহিত্য ও শিশুদের নিয়ে তিনি ভাবনা চিন্তা করেন। তার গল্পের বই ‘জেবার প্রিয় বারবি ডল’, নাম শুনলেই বোঝা যায় শিশু মনস্তত্ব তিনি সহজে বুঝতে পারেন। একই সঙ্গে আনন্দ দেয়া এবং কিছু জানানো সহজ কাজ নয়। তিনিসেই চেষ্টাই করেছেন। এটি আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে। যাদের জন্য লেখা তাদের ভালো লাগলে আমার আরো ভালো লাগবে। নাইস নূরকে আমার অভিনন্দন।’

নাইস নূর বলেন, ‘প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশিশুদের কথা ভেবেই মূলত বইটি আমি লিখেছি। বইটির একটি গল্পে বাংলা ভাষার মহত্ব ও দুটি গল্পে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে শিশুদের সহজ ভাবে জানানোর চেষ্টা করেছি আমি। এছাড়া জেবার প্রিয় বারবি ডল গল্পটিতে আমি চেষ্টা করেছি একটা বার্তাদিতে। তা হলো, একজন শিশুর রঙিন বারবি ডল যেমন পছন্দ হতে পারে তেমনি কালো রঙের বারবি ডলও। আসলে আমি চাই ছোটবেলা থেকেই যেন শিশুদের মনে বর্ণ বৈষম্য ব্যাপারাটা না থাকে। শিশুদের সরাসরি শিক্ষার কথা বললে তাদের বুঝতে কষ্ট হতে পারে। তাই আমি চেষ্টা করেছি গল্প বলে তাদের অনেক কিছু জানাতে। ‘অ’র প্রিয় বন্ধু ঐ’ এই গল্পটি পড়লে শিশুরা স্বরবর্ণও শিখতে পারবে।’

‘জেবার প্রিয় বারবি ডল’ নাইস নূরের লেখা অষ্টম বই। তার লেখা উল্লেখ্যযোগ্য বইগুলো হলো ‘কার্টুনের দেশে মনিকা’, ‘সাদমানের ক্রিকেটার বন্ধু’, ‘না ছোঁয়ার স্পর্শ’, ইংরেজিতে লেখা রুপকথা গল্পের বই ‘A Tale Of Blind Princess’।

বইমেলা ছাড়াও নাইস নূরের সব বই পাওয়া যাচ্ছে অনলাইন বুক শপ রকমারি.কমে



মন্তব্য চালু নেই