২০৩৫ সালের পর ঢাকার বিমান যাত্রীরা যাবেন কোথায়?

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন পদ্মার দক্ষিণ প্রান্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর বাস্তবায়ন কমিটির নেতারা। পদ্মার নদীর দক্ষিণ পারে চর জানাজা অথবা বাঘিয়ার বিলে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের প্রয়োজনিয়তা কথা জানিয়ে এর নির্মাণ কাজ দ্রুত শুরু করতে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।

বুধবার বিকেলে মন্ত্রনালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কমিটির নেতৃবৃন্দ।

মন্ত্রী এ সময় নেতারাকে জানান, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর নির্মাণ মন্ত্রণালয়ের একটি অগ্রাধিকার প্রকল্প। কারণ ২০৩৫ সালের পর কোনক্রমেই শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে যাত্রী সংকুলান হবে না। বিমান বন্দর নির্মাণের জন্য ফিজিবিলিটি স্টাডির কাজ চলছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

তিনি বিমান বন্দর নির্মাণে এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী।

কমিটির নেতৃবৃন্দ মন্ত্রীকে বলেন, ‘ভৌগলিক অবস্থান বিবেচনায় বাংলাদেশের উপর দিয়ে যতগুলো আন্তর্জাতিক রুট রয়েছে তার সবগুলো দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপর দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। দূরত্বের বিবেচনায় আন্তর্জাতিক বিমানগুলো অবতরণের জন্য পদ্মার দক্ষিণের অঞ্চলটি উপযুক্ত স্থান। এখানে বিমান বন্দর স্থাপিত হলে পার্শ্ববর্তী ১ লাখ একর খাস জমিতে একটি স্যাটেলাইট সিটি নির্মাণ করা সম্ভব হবে। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব দিকের নরিয়ায় একটি আন্তর্জাতিক নৌ-কন্টেইনার টার্মিনাল স্থাপন করা যাবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সভাপতি মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন আহমেদ, সদস্য সচিব শেখ ওয়াসিউজ্জামান লেনিন, কার্যকর সভাপতি ও শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোকা সিকদার, মেজর ইয়াদ আলী ফকির, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, খন্দকার সাহাব উদ্দিন প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই