২০১৭ সালে কক্ষপথে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০১৭ সালের মধ্যেই কক্ষপথে বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট স্থাপিত হবে, যা দেশের টেলিযোগাযোগসহ তথ্য প্রযুক্তি খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসবে।

বার্তা সংস্থা বাসসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের সর্ব প্রথম নিজস্ব স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ স্থাপনের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি। ইতিমধ্যেই অরবিটাল স্লট কেনা হয়েছে। আমি আশা করি, ২০১৭ সালের মধ্যেই কক্ষপথে বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট স্থাপিত হবে, যা দেশের টেলিযোগাযোগসহ তথ্য-প্রযুক্তি খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দীর্ঘ ২১ বছর পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে আবারও সরকার গঠন করে। সে সময় একটি মাত্র প্রতিষ্ঠান মোবাইল সেবা প্রদান করত। এই মনোপলি ব্যবসা ছিল বিএনপির একজন মন্ত্রীর। লক্ষাধিক টাকা মূল্যের সে সংযোগ ধনাঢ্য ও শৌখিন ব্যক্তি ছাড়া কারও সামর্থ্যের মধ্যে ছিল না। আমরা মোবাইলের সেই মনোপলি ব্যবসা ভেঙে দিই। প্রাথমিকভাবে তিনটি অপারেটরদের মোবাইল লাইসেন্স প্রদান করি। মোবাইল সংযোগ সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পদক্ষেপের ফলেই দেশে কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের বিস্তার শুরু হয়। আমরা ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি খাতে ব্যাপক পরিবর্তনের সূচনা করি।’

শেখ হাসিনা বলেন, আজ দেশের ৯৯ ভাগ এলাকা মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। দেশে ৩-জি প্রযুক্তির মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করা হয়েছে। ৪-জি প্রযুক্তিও অচিরেই চালু করা হবে। তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের আইসিটি বিভাগ একটি বেসরকারি মোবাইল অপারেটর এবং ফেসবুকের সহায়তা নিয়ে বিনা পয়সায় ইন্টারনেট সেবা চালু করেছে। ইন্টারনেটের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে আমরা সাবমেরিন কেবলের ক্যাপাসিটি ২০০ জিবিপিএস পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছি। ইন্টারনেট ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করতে আমরা দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের সঙ্গে বাংলাদেশকে যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। এ সংযোগের কাজ চলমান রয়েছে। আশা করি, ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এ কাজ শেষ হবে। দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে বাংলাদেশে প্রায় এক হাজার ৩০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ অর্জন করবে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরী। আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং আইসিটি মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ইমরান আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। এ ছাড়া বিটিআরসির চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে আইটিইউ’র মহাসচিব হোউলিন ঝাও-এর একটি ভিডিও বার্তাও প্রচার করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই