ইংরেজি নববর্ষ শুরুর ইতিহাস

২০১৪ বিদায়, আতশবাজিতে বরণ ২০১৫

আতশবাজির ঝলকানি আর উৎসবের আমেজে জীর্ণতাকে বিদায় দিয়ে বিশ্বের পাশাপাশি নতুন বছর ২০১৫ সালকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ।

বিশ্বজুড়ে নতুন বছরকে আমন্ত্রণ জানানোর উৎসবের মাঝে প্রথম নববর্ষ উদযাপন করেছে নিউজিল্যান্ড। অকল্যান্ডে বিশাল জনসমাগম আর বর্ণিল আতশবাজির মধ্য দিয়ে স্বাগত জানানো হয় নতুন বছরকে।

ঘড়ির কাটায় রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর ঢাকার আকাশেও শুরু হয় আতশবাজির ঝলকানি। বাসার ছাদে উঠে সেই আলোর ঝলকানি দেখে বিপুল হর্ষধ্বনি আর হাততালির মধ্য দিয়ে ২০১৫ সালকে আমন্ত্রণ জানায় ঢাকাবাসী।

সারা দেশব্যাপী নতুন বছরকে বরণ করে নিতে আতশবাজির পাশাপাশি রাতে অনেককে পিকনিক করতে দেখা গেছে।

‘আওয়ার নিউজ বিডি ডটকম’ এর পক্ষ থেকে সকলকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

2015. ২০১৪ বিদায়, আতশবাজিতে ২০১৫ বরণ

ইংরেজি নববর্ষ শুরুর ইতিহাস

নববর্ষ মানে নতুন বছর। সময়ের হিসাবে একটি বছর শেষ হয়ে নতুন বছর শুরু হতে যাচ্ছে। তো আমরা কেন নতুন বছর বলছি। সময় তো সময়ের মতোই গড়িয়ে যাচ্ছে। দিন যাচ্ছে তো যাচ্ছেই। জেনে নেয়া যাক কীভাবে কখন থেকে আমরা সময়ের হিসেব করে নতুন বছর শুরু হলো বুঝলাম। জেনে নেয়া যাক বর্ণিল উৎসাহে পালন করা ইংরেজি নববর্ষের ইতিহাস।

মানুষ সূর্য দেখে সময় হিসেব করতো । কিংবা বলা যায় তারও আগে মানুষ বুঝতই না সময় আসলে কী। ধারণাটা আসে চাঁদের হিসাব থেকে। অর্থাৎ চাঁদ ওঠা এবং ডুবে যাওয়ার হিসাব করে মাস এবং তারপর বছরের হিসাব। জানা যায়, প্রথম মিশরীয়রা সূর্য দেখে বছর হিসাব করতে শিখলো। যাকে তারা সৌরবর্ষ নাম দিল। কিন্তু সমস্যা হলো সূর্য দেখে হিসাব আর চন্দ্র দেখে হিসাবের অনেক পার্থক্য থাকতো। কিন্তু বছর গুনলে কী হবে তার হিসাব রাখা জরুরি। তাই সুমেরীয়রা বর্ষপঞ্জিকা আবিষ্কার করলো। যাকে ক্যালেন্ডার বলি।২০১৫ ইংরেজি নববর্ষ শুরুর ইতিহাস

এরপর গ্রিকদের কাছ থেকে বর্ষপঞ্জিকা পেয়েছিল রোমানরা। তারা কিন্তু ১২ মাসে বছর গুণতো না। তাদের বছরে ছিল ১০ মাস গোনা হতো। রোমানরা বছর হিসাব করতো তিনশো চার দিন। তারা মার্চের ১ তারিখে নববর্ষ উৎযাপনের রীতি চালু করে। পরবর্তীতে রোমের সম্রাট নুমা জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাস দুটিকে ক্যালেন্ডারের অন্তর্ভুক্ত করেন। তিনি ‘মারসিডানাস’ নামে আরও একটি মাস যুক্ত করেন রোমান বর্ষপঞ্জিকায়। তখন থেকে রোমানরা ১ জানুয়ারি নববর্ষ পালন করতে শুরু করে।

১৫৩ খ্রিস্টপূর্বে প্রথম রোমানরা ১ জানুয়ারি নববর্ষ পালন করেছিল।

ঘটা করে ১ জানুয়ারি নববর্ষ পালন শুরু হয় সম্রাট জুলিয়াস সিজারের সময় থেকে। খ্রিস্টপূর্ব ৪৬ অব্দে সম্রাট জুলিয়াস সিজার একটি নতুন বর্ষপঞ্জিকার প্রচলন ঘটান। রোমানদের আগের বর্ষপঞ্জিকা ছিল চন্দ্রবর্ষের, সম্রাট জুলিয়াসেরটা হলো সৌরবর্ষের।

রোমানদের দরজা ও ফটকের দেবতা ছিলেন জানুস। তার নামের সঙ্গে মিলিয়ে জানুয়ারি মাসের নাম হওয়ায় জুলিয়াস ভাবলেন নতুন বছরের ফটক হওয়া উচিত জানুয়ারি মাস। সেজন্য জানুয়ারির ১ তারিখে নববর্ষ পালন শুরু হলো। আর পরে জুলিয়াস সিজারের নামানুসারে প্রাচীন কুইন্টিলিস মাসের নাম পাল্টে রাখা হয় জুলাই। আরেক বিখ্যাত রোমান সম্রাট অগাস্টাসের নামানুসারে সেক্সটিনিস মাসের নাম হয় অগাস্ট।

যিশুখ্রিস্টের জন্ম বছর থেকে গণনা করে ডাইওনিসিয়াম এক্সিগুয়াস নামক এক খ্রিস্টান পাদ্রি ৫৩২ অব্দ থেকে সূচনা করেন খ্রিস্টাব্দের। ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দের কথা। রোমের পোপ ত্রয়োদশ গ্রেগরি জ্যোতির্বিদদের পরামর্শ নিয়ে জুলিয়ান ক্যালেন্ডার সংশোধন করেন। এরপর ওই সালেই অর্থাৎ ১৫৮২ তে গ্রেগোরিয়ান ক্যালেন্ডারে ১ জানুয়ারিকে আবার নতুন বছরের প্রথম দিন বানানো হয়।

সংক্ষেপে এই হলো ইংরেজি নববর্ষ চালুর ইতিহাস।

ভালো কিছু করার প্রত্যয়ে শুরু হোক সকলের নতুন বছরের পথ চলা এই প্রত্যাশা করছে ‘আওয়ার নিউজ বিডি ডটকম’ পরিবারের পক্ষ থেকে। আসুন, আমরা সকলে-ই যে যার অবস্থান থেকে যতটুকু সম্ভব নতুন বছরে মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করি।



মন্তব্য চালু নেই