‘১৬ শর্ত পূরণ হলে জিএসপি পুনর্বহাল হবে’

বাংলাদেশের জিএসপি হারানো বা পুনর্বহাল রাজনৈতিক কোনো ইস্যু নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেনস বার্নিকাট।

তবে বাংলাদেশকে যে ১৬টি শর্ত পূরণ করতে বলা হয়েছে তা পূরণ করতে পারলে জিএসপি পুনর্বহাল করা হবে।

বুধবার গাজীপুরে ইউটা ফ্যাশন লিমিটেড এবং ইপিলিয়ন স্টাইল লিমিটেড কারখানা দুটি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন বার্নিকাট।

তিনি বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন, অনলাইন ডাটাবেস, সংশোধিত শ্রম আইনের বিধিমালার পূর্ণ বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ জিএসপি ফিরে পেতে পারে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক খাত সম্পর্কে আগে থেকেই উচ্চ মানের ধারণা ছিল। আজকে পরিদর্শন করে তা আরো স্পষ্ট হয়েছে। আজকে দুটি কারখানা পরিদর্শন করে রানা প্লাজা ধসের পর ধারণা আরো উচ্চমানের হয়েছে। এই দুটি কারখানা অন্যান্য কারখানার জন্য আদর্শ হয়ে থাকবে।

বার্নিকাট আরো বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকেই জিএসপি পূনর্বহালের লক্ষ্যে কাজ করছে। কারখানার নিরাপত্তা উন্নয়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে আমরা আছি আপনাদের পাশে।

বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, রানা প্লাজাই বাংলাদেশের পুরো চিত্র নয়। রানা প্লাজা ধসের পর কারখানা অনেক উন্নয়ন হয়েছে। ২০১৩ সালের পর ট্রেড ইউনিয়ন ১৩২ থেকে ৪০০-এর ওপরে করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জিএসপি হারানোটা আমাদের দুর্ভাগ্য। এটা গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির জন্য ক্ষতি নয়, তবে ভাবমূর্তির ক্ষতি।

কারখানা পরিদর্শনে রাষ্ট্রদূত বার্নিকাটের সঙ্গে আরো ছিলেন, কানাডার রাষ্ট্রদূত বিউই পিয়েরে লারামি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মাইয়েদোঁ, স্পেনের রাষ্ট্রদূত এডওয়ার্ড ডে লাইগ্লেসিয়া ওয়াই ডেল রোসাল, অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড. লুসিন্ডা বেল, ডেনমার্কের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স, ফ্রান্সের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জ্যঁ পিয়েরে পোঁসে, কালচারাল সেকশনের ক্লেমেন্ট পাইয়োর, নেদারল্যান্ডসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মার্টিন ভন হুগস্ট্রাটেন, জার্মানির চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড. থমাস প্রিঞ্জ প্রমুখ।

পরিদর্শনকালে তারা পোশাক কারখানার কমপ্লায়েন্স, কারখানা শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ পর্যবেক্ষণ করেন।



মন্তব্য চালু নেই