১৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে কী?
আগামী ডিসেম্বরে দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা রয়েছে। সেই স্যাটেলাইটের একটি ‘রেপ্লিকা’ আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর একটি ‘রেপ্লিকা’ হস্তান্তর করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
বর্তমান কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ১৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা সম্ভব হবে বলে সম্প্রতি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় জানানো হয়।
স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে রাশিয়ার উপগ্রহ কোম্পানি ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে কক্ষপথ (অরবিটাল স্লট) কেনার আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়েছে।
মহাকাশের ১১৯ দশমিক ১ পূর্ব দ্রাঘিমায় প্রায় ২১৯ কোটি টাকায় কেনা হয়েছে এই স্লট। এখানেই উড়বে দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ।
দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ বর্তমান কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ১৬ ডিসেম্বর উৎক্ষেপণ করা সম্ভব হবে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে কমিটির সভাপতি ইমরান আহমদের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় এ কথা জানানো হয়। কমিটির সদস্য ডাক, টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এবং মোয়াজ্জেম হোসেন রতন সভায় অংশগ্রহণ নেন। সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।
সভায় ২০১৬ সালে ডাক, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব বিভাগের কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
কমিটিকে জানানো হয়, বায়োমেট্রিক্স ভেরিফিকেশন, অভিযোগ ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স এবং কোয়ালিটি অব সার্ভিস, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানির মাধ্যমে দেশকে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলে সংযুক্তকরণ, ইন্টারনেট ব্যবহারের মূল্য কমানো, ভারতে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে ব্যান্ডউইডথ লিজ দেওয়ার উদ্যোগ এবং ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার বৃদ্ধি করাসহ নানাবিধ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কমিটিকে আরও জানানো হয়, বিটিসিএল টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক উন্নয়নে এক হাজারটি ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পর্যায়ে অপটিক্যাল ফাইবার উন্নয়ন, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড কর্তৃক টেলিটক রি-ব্র্যান্ডিং কার্যক্রম, রিটেইল মার্কেট ব্যবস্থাপনায় গতিশীলতা আনয়ন এবং ‘স্মল সেল’ শীর্ষক প্ল্যাটফর্ম স্থাপন করা হয়েছে।
এ ছাড়া ডাক অধিদপ্তর পোস্ট ই-সেন্টার ফর রুরাল কমিউনিটি, ডাক বিভাগের কার্যপ্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয়করণ, তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর গ্রামীণ ডাকঘর নির্মাণ, পোস্ট ই-কমার্স সার্ভিস টেলিফোন শিল্প সংস্থা স্বল্পমূল্যে ল্যাপটপ কম্পিউটার সংযোজন এবং বাংলাদেশ কেবল শিল্প লিমিটেড উৎপাদিত টেলিফোন কপার কেব্ল, অপটিক্যাল ফাইবার কেব্ল সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা হচ্ছে।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব বিভাগের যেসব প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, সেসব প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে তাগিদ দেওয়া হয়।
ডাক, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব বিভাগের কাজে দেশের স্বার্থ বিবেচনা এবং অতিরিক্ত অর্থ খরচ না হয়, সেসব বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রকল্প গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
ডাক, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন সব বিভাগের কার্যক্রমের সাফল্য নিয়ে কমিটির পরবর্তী বৈঠকে আলোচনা করার সুপারিশ করা হয়।
ডাক, টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, ডাক বিভাগের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয় ও সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য চালু নেই