যুগ্ম কমিশনারের ব্রিফিং

১৫৩ বিশিষ্টজনকে হত্যার হুমকি দেন হক একাই

তেজগাঁও থেকে গ্রেপ্তার আবদুল হক দেশের বিশিষ্ট নাগরিক, রাজনীতিবিদসহ ১৫৩ জন ব্যক্তিকে ইসলামিক স্টেটস (আইএস) ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) নামে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

এর আগে মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁও এলাকা থেকে আবদুল হককে গ্রেপ্তার করে ডিবি।

যুগ্ম কমিশনার জানান, গ্রেপ্তারের পর আবদুল হকের দুটি ল্যাপটপ ও একটি স্মার্টফোন থেকে হুমকি দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, ইতিহাসবীদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি নেতা শাহরিয়ার কবির, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ প্রমুখকে হত্যার হুমকি দেন আবদুল হক।

মনিরুল ইসলাম বলেন, “আব্দুল হক দীর্ঘদিন ধরে নিজের পরিচয় গোপন করে ফাইজুর রহমান, সালেহ আহম্মেদ ফোয়াদ ও মাওলানা সাদ নামে ফেসবুক আইডি খুলে তাদের মোবাইল ফোন নম্বর স্পুফিংয়ের (ক্লোন) মাধ্যমে ব্যবহার করে বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ এবং বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল এবং প্রাণনাশের হুমকিমূলক বার্তা পাঠিয়ে আসছিলেন।

যুগ্ম কমিশনার বলেন, আবদুল হক জকিগঞ্জের একটি মাদ্রাসার শিক্ষক। তিনি পূর্বশত্রুতার জের ধরে ফাইজুর রহমান, সালেহ আহম্মেদ ফোয়াদ ও মাওলানা সাদের মোবাইল ফোন নম্বর ব্যবহার করে হুমকি দিচ্ছিলেন, যাতে ওই তিনজন ঝামেলার মধ্যে পড়েন। আবদুল হক আরবি ও বাংলা ভাষার পাশাপাশি ইংরেজি ও আইটি এক্সপার্ট বলে জানান যুগ্ম কমিশনার।

যুগ্ম কমিশনার বলেন, আবদুল হক ইন্টারনেটে আইএসের লেখা পড়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর একজন সমর্থক।



মন্তব্য চালু নেই