১৪ মাস পর কবর খুঁড়ে তোলা হলো শিশুর লাশ

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় ১৪ মাস পর ময়না তদন্তের জন্য সাফিউল্লাহ (৪) নামে এক শিশুর লাশ কবর খুঁড়ে তোলা হয়েছে।

সোমবার বিকালে উপজেলার আলোকচর গ্রামের কেন্দ্রীয় কবর স্থান থেকে ওই শিশুর লাশ তোলা হয়। মঙ্গলবার লাশটি ডিএনএ টেস্টের জন্য ঢাকায় পাঠানোর হবে বলে জানা গেছে।

থানা সূত্রে জানা যায়, বিকালে পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কায়ছারুল ইসলাম, ডাক্তার শারমীন শবনম, পাবনা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও আতাইকুলা থানা পুলিশের উপস্থিতিতে ওই শিশুর লাশ তোলা হয়।

মৃত শিশু সাফিউল্লাহ আলোকচর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১৪ মাস আগে প্রতিবেশী খোরশেদ আলম মাস্টারের বাড়ির পিছনের পুকুর থেকে ওই লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায় এলাকাবাসী।

ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়। কিছুদিন পরেই খোরশেদ আলম মাস্টারের পুকুর পাড়ে বাঁশ ঝাড়ে মাটিতে পুঁতে রাখা শিশু সাফিউল্লাহ ব্যবহার করা স্যান্ডেল পাওয়া যায়। এতে সফিউল্লাহকে হত্যা করা হয়েছিল বলে সন্দেহ করা হয়।

এ ব্যাপারে চাচা মিজানুর রহমান বাদী হয়ে প্রতিবেশী মোখলেছুর রহমানকে প্রধান আসামি করে আতাইকুলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-০৩ তারিখ- ০৯/১০/২০১৬ইং। ধারা ৩৬৪/৩০২/৩৪ দণ্ডবিধি।

পাবনা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, তকে হত্যা করা হয়েছিল, নাকি পানিতে ডুবে মারা গেছে তা নিশ্চিত হতেই শিশুটির লাশ কবর থেকে তোলা হয়। ডিএনএ টেস্টের জন্য লাশটি ঢাকা পাঠানো হবে।



মন্তব্য চালু নেই